যৌবনের অনাহূত রবাহূত ভিড়-করা ভোজে কে ছিল কাহার খোঁজে, ভালো করে মনে ছিল না তা। ক্ষণে ক্ষণে হয়েছে আসন পাতা, ক্ষণে ক্ষণে নিয়েছে সরায়ে। মালা কেহ গিয়েছে পরায়ে জেনেছিনু, তবু কে যে জানি নাই তারে। মাঝখানে বারে বারে কত কী যে এলোমেলো কভু গেল, কভু এল। সার্থকতা ছিল যেইখানে ক্ষণিক পরশি তারে চলে গেছি জনতার টানে। সে যৌবনমধ্যাহ্নের অজস্রের পালা শেষ হয়ে গেছে আজি, সন্ধ্যার প্রদীপ হল জ্বালা। অনেকের মাঝে যারে কাছে দেখে হয় নাই দেখা একেলার ঘরে তারে একা চেয়ে দেখি, কথা কই চুপে চুপে, পাই তারে না-পাওয়ার রূপে।
তোমার লেখনী যেন ন্যায়দণ্ড ধরে শত্রু মিত্র নির্বিভেদে সকলের 'পরে। স্বজাতির সিংহাসন উচ্চ করি গড়ো, সেই সঙ্গে মনে রেখো সত্য আরো বড়ো। স্বদেশেরে চাও যদি তারো ঊর্ধ্বে ওঠো, কোরো না দেশের কাছে মানুষেরে ছোটো।