মা কেহ কি আছ মোর, কাছে এসো তবে, পাশে বসে স্নেহ ক'রে জাগাও আমায়। স্বপ্নের সমাধিমাঝে বাঁচিয়া কী হবে, যুঝিতেছি জাগিবারে--আঁখি রুদ্ধ হায়। ডেকো না ডেকো না মোরে ক্ষুদ্রতার মাঝে, স্নেহময় আলস্যেতে রেখো না বাঁধিয়া, আশীর্বাদ করে মোরে পাঠাও গো কাজে-- পিছনে ডেকো না আর কাতরে কাঁদিয়া। মোর বলে কাহারেও দেব না কি বল, মোর প্রাণে পাবে না কি কেহ নব প্রাণ। করুণা কি শুধু ফেলে নয়নের জল, প্রেম কি ঘরের কোণে গাহে শুধু গান? তবেই ঘুচিবে মোর জীবনের লাজ যদি মা করিতে পারি কারো কোনো কাজ॥
পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে, পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া। যাত্রাপথের আনন্দগান যে গাহে তারি কণ্ঠে তোমারি গান গাওয়া। চায় না সে জন পিছন-পানে ফিরে, বায় না তরী কেবল তীরে তীরে, তুফান তারে ডাকে অকূল নীরে যার পরানে লাগল তোমার হাওয়া। পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া। পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে, পথিক-চিত্তে তোমার তরী বাওয়া। দুয়ার খুলে সমুখ-পানে যে চাহে তার চাওয়া যে তোমার পানে চাওয়া। বিপদ বাধা কিছুই ডরে না সে, রয় না পড়ে কোনো লাভের আশে, যাবার লাগি মন তারি উদাসে-- যাওয়া সে যে তোমার পানে যাওয়া। পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া।