ঠাকুর, তব পায়ে নমোনমঃ, পাপিষ্ঠ এই অক্ষমেরে ক্ষম, আজ বসন্তে বিনয় রাখো মম বন্ধ করো শ্রীমদ্ভাগবত। শাস্ত্র যদি নেহাত পড়তে হবে গীত-গোবিন্দ খোলা হোক-না তবে। শপথ মম, বোলো না এই ভবে জীবনখানা শুধুই স্বপ্নবৎ। একটা দিনের সন্ধি করিয়াছি, বন্ধ আছে যমরাজের সমর-- আজকে শুধু এক বেলারই তরে আমরা দোঁহে অমর দোঁহে অমর। স্বয়ং যদি আসেন আজি দ্বারে মান্ব নাকো রাজার দারোগারে-- কেল্লা হতে ফৌজ সারে সারে দাঁড়ায় যদি, ওঁচায় ছোরা-ছুরি, বলব, "রে ভাই, বেজার কোরো নাকো, গোল হতেছে, একটু থেমে থাকো, কৃপাণ-খোলা শিশুর খেলা রাখো খ্যাপার মতো কামান-ছোঁড়াছুঁড়ি। একটুখানি সরে গিয়ে করো সঙের মতো সঙিন ঝম-ঝমর। আজকে শুধু এক বেলারই তরে আমরা দোঁহে অমর দোঁহে অমর।' বন্ধুজনে যদি পুণ্যফলে করেন দয়া, আসেন দলে দলে, গলায় বস্ত্র কব নয়নজলে, "ভাগ্য নামে অতিবর্ষা-সম! এক দিনেতে অধিক মেশামেশি শ্রান্তি বড়োই আনে শেষাশেষি, জান তো ভাই, দুটি প্রাণীর বেশি এ কুলায়ে কুলায় নাকো মম। ফাগুন-মাসে ঘরের টানাটানি-- অনেক চাঁপা, অনেকগুলি ভ্রমর । ক্ষুদ্র আমার এই অমরাবতী-- আমরা দুটি অমর, দুটি অমর।'
ON THE DAY when death will knock at thy door what wilt thou offer to him? Oh, I will set before my guest the full vessel of my life-I will never let him go with empty hands. All the sweet vintage of all my autumn days and summer nights, all the earnings and gleanings of my busy life will I place before him at the close of my days when death will knock at my door.
পিয়র্সন কয়েক জোড়া সবুজরঙের বিদেশী পাখি আশ্রমে ছেড়ে দিয়েছিলেন । অনেক দিন তারা এখানে বাসা বেঁধে ছিল । আজকাল আর দেখতে পাই নে । আশা করি কোনো নালিশ নিয়ে তারা চলে যায় নি, কিম্বা এখানকার অন্য আশ্রমিক পশু-পাখির সঙ্গে বর্ণভেদ বা সুরের পার্থক্য নিয়ে তাদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটে নি । এনেছে কবে বিদেশী সখা বিদেশী পাখি আমার বনে, সকাল-সাঁঝে কুঞ্জমাঝে উঠিছে ডাকি সহজ মনে । অজানা এই সাগরপারে হল না তার গানের ক্ষতি । সবুজ তার ডানার আভা, চপল তার নাচের গতি । আমার দেশে যে-মেঘ এসে নীপবনের মরমে মেশে বিদেশী পাখি গীতালি দিয়ে মিতালি করে তাহার সনে । বটের ফলে আরতি তার , রয়েছে লোভ নিমের তরে, বনজামেরে চঞ্চু তার অচেনা ব"লে দোষী না করে । শরতে যবে শিশির বায়ে উচ্ছ্বসিত শিউলিবীথি, বাণীরে তার করে না ম্লান কুহেলিঘন পুরানো স্মৃতি । শালের ফুল-ফোটার বেলা মধুকাঙালী লোভীর মেলা, চিরমধুর বঁধুর মতো সে ফুল তার হৃদয় হরে । বেণুবনের আগের ডালে চটুল ফিঙা যখন নাচে পরদেশী এ পাখির সাথে পরানে তার ভেদ কি আছে । উষার ছোঁওয়া জাগায় ওরে ছাতিমশাখে পাতার কোলে, চোখের আগে যে ছবি জাগে মানে না তারে প্রবাস ব"লে । আলোতে সোনা,আকাশে নীলা, সেথা যে চিরজানারই লীলা, মায়ের ভাষা শোনে সেখানে শ্যামল ভাষা যেখানে গাছে ।