আজ পুরবে প্রথম নয়ন মেলিতে হেরিনু অরুণশিখা-- হেরিনু কমলবরন শিখা, তখনি হাসিয়া প্রভাততপন দিলেম আমারে টিকা-- আমার হৃদয়ে জ্যোতির টিকা। কে যেন আমার নয়ননিমেষে রাখিল পরশমণি, যে দিকে তাকাই সোনা করে দেয় দৃষ্টির পরশনি। অন্তর হতে বাহিরে সকলি আলোকে হইল মিশা, নয়ন আমার হৃদয় আমার কোথাও না পায় দিশা। আজ যেমনি নয়ন তুলিয়া চাহিনু কমলবরন শিখা-- আমার অন্তরে দিল টিকা। ভাবিয়াছি মনে দিব না মুছিতে এ পরশ-রেখা দিব না ঘুচিতে, সন্ধ্যার পানে নিয়ে যাব বহি নবপ্রভাতের লিখা-- উদয়রবির টিকা।
হে রাজেন্দ্র,তব হাতে কাল অন্তহীন। গণনা কেহ না করে, রাত্রি আর দিন আসে যায়, ফুটে ঝরে যুগযুগন্তরা। বিলম্ব নাহিক তব, নাহি তব ত্বরা-- প্রতীক্ষা করিতে জান। শতবর্ষ ধ'রে একটি পুষ্পের কলি ফুটাবার তরে চলে তব ধীর আয়োজন। কাল নাই আমাদের হাতে; কাড়াকাড়ি করে তাই সবে মিলে; দেরি কারো নাহি সহে কভু। আগে তাই সকলের সব সেবা, প্রভু, শেষ করে দিতে দিতে কেটে যায় কাল-- শূন্য পড়ে থাকে হায় তব পূজা-থাল। অসময়ে ছুটে আসি, মনে বাসি ভয়-- এসে দেখি, যায় নাই তোমার সময়।