বাসনারে খর্ব করি দাও হে প্রাণেশ। সে শুধু সংগ্রাম করে লয়ে এক লেশ বৃহতের সাথে। পণ রাখিয়া নিখিল জিনিয়া নিতে সে চাহে শুধু এক তিল। বাসনার ক্ষুদ্র রাজ্য করি একাকার দাও মোরে সন্তোষের মহা অধিকার। অযাচিত যে সম্পদ অজস্র আকারে ঊষার আলোক হতে নিশার আঁধারে জলে স্থলে রচিয়াছে অনন্ত বিভব-- সেই সর্বলভ্য সুখ অমূল্য দুর্লভ সব চেয়ে। সে মহা সহজ সুখখানি পূর্ণশতদলসম কে দিবে গো আনি জলস্থল-আকাশের মাঝখান হতে, ভাসাইয়া আপনারে সহজের স্রোতে!
ভৈরবী । রূপক কে এসে যায় ফিরে ফিরে আকুল নয়নের নীরে? কে বৃথা আশাভরে চাহিছে মুখ-'পরে? সে যে আমার জননী রে! কাহার সুধাময়ী বাণী মিলায় অনাদর মানি? কাহার ভাষা হায় ভুলিতে সবে চায়? সে যে আমার জননী রে! ক্ষণেক স্নেহকোল ছাড়ি চিনিতে আর নাহি পারি। আপন সন্তান করিছে অপমান-- সে যে আমার জননী রে! পুণ্য কুটিরে বিষণ্ণ কে ব'সে সাজাইয়া অন্ন? সে স্নেহ-উপহার রুচে না মুখে আর! সে যে আমার জননী রে!