আজ শরতের আলোয় এই যে চেয়ে দেখি মনে হয় এ যেন আমার প্রথম দেখা। আমি দেখলেম নবীনকে, প্রতিদিনের ক্লান্ত চোখ যার দর্শন হারিয়েছে। কল্পনা করছি,-- অনাগত যুগ থেকে তীর্থযাত্রী আমি ভেসে এসেছি মন্ত্রবলে। উজান স্বপ্নের স্রোতে পৌঁছলেম এই মুহূর্তেই বর্তমান শতাব্দীর ঘাটে। কেবলি তাকিয়ে আছি উৎসুক চোখে। আপনাকে দেখছি আপনার বাইরে,-- অন্যযুগের অজানা আমি অভ্যস্ত পরিচয়ের পরপারে। তাই তাকে নিয়ে এত গভীর কৌতূহল। যার দিকে তাকাই চক্ষু তাকে আঁকড়িয়ে থাকে পুষ্পলগ্ন ভ্রমরের মতো। আমার নগ্নচিত্ত আজ মগ্ন হয়েছে সমস্তের মাঝে। জনশ্রুতির মলিন হাতের দাগ লেগে যার রূপ হয়েছে অবলুপ্ত, যা পরেছে তুচ্ছতার মলিন চীর তার সে জীর্ণ উত্তরীয় আজ গেল খ'সে। দেখা দিল সে অস্তিত্বের পূর্ণ মূল্যে। দেখা দিল সে অনির্বচনীয়তায়। যে বোবা আজ পর্যন্ত ভাষা পায়নি জগতের সেই অতি প্রকাণ্ড উপেক্ষিত আমার সামনে খুলেছে তার অচল মৌন, ভোর-হয়ে-ওঠা বিপুল রাত্রির প্রান্তে প্রথম চঞ্চল বাণী জাগল যেন। আমার এতকালের কাছের জগতে আমি ভ্রমণ করতে বেরিয়েছি দূরের পথিক। তার আধুনিকের ছিন্নতার ফাঁকে ফাঁকে দেখা দিয়েছে চিরকালের রহস্য। সহমরণের বধূ বুঝি এমনি ক'রেই দেখতে পায় মৃত্যুর ছিন্নপর্দার ভিতর দিয়ে নূতন চোখে চিরজীবনের অম্লান স্বরূপ।
I HAVE COME TO thee to take thy touch before I begin my day. Let thy eyes rest upon my eyes for awhile. Let me take to my work the assurance of thy comradeship, my friend. Fill my mind with thy music to last through the desert of noise! Let thy Love's sunshine kiss the peaks of my thoughts and linger in my life's valley where the harvest ripens.
তোমার মাঝে আমারে পথ ভুলিয়ে দাও গো, ভুলিয়ে দাও। বাঁধা পথের বাঁধন হতে টলিয়ে দাও গো, দুলিয়ে দাও। পথের শেষে মিলবে বাসা সে কভু নয় আমার আশা, যা পাব তা পথেই পাব- দুয়ার আমার খুলিয়ে দাও। কেউ বা ওরা ঘরে ব'সে ডাকে মোরে পুঁথির পাতায়। কেউ বা ওরা অন্ধকারে মন্ত্র প'ড়ে মনকে মাতায়। ডাক শুনেছি সকলখানে সে কথা যে কেউ না মানে; সাহস আমার বাড়িয়ে দিয়ে পরশ তোমার বুলিয়ে দাও।