×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
Stray Birds
Stray Birds
Stray Birds (THE SUNSHINE greets me)
180
THE SUNSHINE greets me with a smile.
The rain, his sad sister, talks to my heart.
Rendition
Related Topics
নীড় ও আকাশ
Verses
নীড়ে বসে গেয়েছিলেম
আলোছায়ার বিচিত্র গান।
সেই গানেতে মিশেছিল
বনভূমির চঞ্চল প্রাণ।
দুপুরবেলার গভীর ক্লান্তি,
রাত্রিবেলার নিবিড় শান্তি,
প্রভাত-কালের বিজয়-যাত্রা,
মলিন মৌন সন্ধ্যাবেলার,
পাতার কাঁপা, ফুলের ফোটা,
শ্রাবণ-রাতে জলের ফোঁটা,
উসুখুসু শব্দটুকুন
কোটর-মাঝে কীটের খেলার,
কত আভাস আসা-যাওয়ার,
ঝর্ঝরানি হঠাৎ-হাওয়ার,
বেণুবনের ব্যাকুল বার্তা
নিশ্বসিত জ্যোৎস্নারাতে,
ঘাসের পাতার মাটির গন্ধ,
কত ঋতুর কত ছন্দ--
সুরে সুরে জড়িয়ে ছিল
নীড়ে-গাওয়া গানের সাথে।
আজ কি আমায় গাইতে হবে
নীল আকাশের নির্জন গান।
নীড়ের বাঁধন ভুলে গিয়ে
ছড়িয়ে দেব মুক্ত পরান?
গন্ধবিহীন বায়ুস্তরে
শব্দবিহীন শূন্য'পরে
ছায়াবিহীন জ্যোতির মাঝে
সঙ্গীবিহীন নির্মমতায়
মিশে যাব অবাধ সুখে,
উড়ে যাব ঊর্ধ্বমুখে,
গেয়ে যাব পূর্ণসুরে
অর্থবিহীন কলকথায়?
আপন মনের পাই নে দিশা,
ভুলি শঙ্কা, হারাই তৃষা,
যখন করি বাঁধন-হারা
এই আনন্দ-অমৃত পান।
তবু নীড়েই ফিরে আসি,
এমনি কাঁদি এমনি হাসি,
তবুও এই ভালোবাসি
আলোছায়ার বিচিত্র গান।
আরো দেখুন
প্রার্থনা
Verses
আজি কোন্ ধন হতে বিশ্ব আমারে
কোন্ জনে করে বঞ্চিত
তব চরণকমলরতনরেণুকা
অন্তরে আছে সঞ্চিত।
কত নিঠুর কঠোর ঘরশে ঘরষে
মর্মমাঝারে শল্য বরষে
তবু প্রাণমন পীযূষপরশে
পলে পলে পুলকাঞ্চিত!
আজি কিসের পিপাসা মিটিল না, ওগো
পরম-পরান-বল্লভ।
চিতে চিরসুধা করে সঞ্চার, তব
সকরুণ করপল্লব।
হেথা কত দিনে রাতে অপমানঘাতে
আছি নতশির গঞ্জিত,
তবু চিত্তললাট তোমারি স্বকরে
রয়েছে তিলকরঞ্জিত।
হেথা কে আমার কানে কঠিন বচনে
বাজায় বিরোধঝঞ্ঝনা!
প্রাণে দিবসরজনী উঠিতেছে ধ্বনি
তোমারি বীণার গুঞ্জনা।
নাথ, যার যাহা আছে তার তাই থাক্,
আমি থাকি চিরলাঞ্ছিত।
শুধু তুমি এ জীবনে নয়নে নয়নে
থাকো থাকো চিরবাঞ্ছিত।
আরো দেখুন
সুখের স্মৃতি
Verses
চেয়ে আছে আকাশের পানে
জোছনায় আঁচলটি পেতে,
যত আলো ছিল সে চাঁদের
সব যেন পড়েছে মুখেতে।
মুখে যেন গলে পড়ে চাঁদ,
চোখে যেন পড়িছে ঘুমিয়ে,
সুকোমল শিথিল আঁচলে
পড়ে আছে আরামে চুমিয়ে।
একটি মৃণাল-করে মাথা,
আরেকটি পড়ে আছে বুকে,
বাতাসটি বহে গিয়ে গায়
শিহরি উঠিছে অতি সুখে।
হেলে হেলে নুয়ে নুয়ে লতা
বাতাসেতে পায়ে এসে পড়ে,
বিস্ময়ে মুখের পানে চেয়ে
ফুলগুলি দুলে দুলে নড়ে।
অতি দূরে বাজে ধীরে বাঁশি,
অতি সুখে পরান উদাসী,
অধরেতে স্খলিতচরণা
মদিরহিল্লোলময়ী হাসি।
কে যেন রে চুমো খেয়ে তারে
চলে গেছে এই কিছু আগে;
চুমোটিরে বাঁধি ফুলহারে
অধরেতে হাসির মাঝারে,
চুমোতে চাঁদের চুমো দিয়ে
রেখেছে রে যতনে সোহাগে।
তাই সেই চুমোটিরে ঘিরে
হাসিগুলি সারা রাত জাগে।
কে যেন রে বসে তার কাছে
গুন গুন করে বলে গেছে
মধুমাখা বাণী কানে কানে।
পরানের কুসুমকারায়
কথাগুলি উড়িয়ে বেড়ায়,
বাহিরিতে পথ নাহি জানে।
অতি দূর বাঁশরির গানে
সে বাণী জড়িয়ে যেন গেছে,
অবিরত স্বপনের মতো
ঘুরিয়ে বেড়ায় কাছে কাছে।
মুখে নিয়ে সেই কথা ক'টি
খেলা করে উলটি, পালটি,
আপনি আপন বাণী শুনে
শরমে সুখেতে হয় সারা।
কার মুখ পড়ে তার মনে,
কার হাসি লাগিছে নয়নে,
স্মৃতির মধুর ফুলবনে
কোথায় হয়েছে পথহারা!
চেয়ে তাই সুনীল আকাশে
মুখেতে চাঁদের আলো ভাসে,
অবসান-গান আশেপাশে
ভ্রমে যেন ভ্রমরের পারা।
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.