ওই দেখা যায় তোমার বাড়ি চৌদিকে-মালঞ্চ-ঘেরা, অনেক ফুল তো ফোটে সেথায়, একটি ফুল সে সবার সেরা। নানা দেশের নানা পাখি করে হেথায় ডাকাডাকি, একটি সুর যে মর্মে বাজে যতই গাহুক বিহঙ্গেরা। যাতায়াতের পথের পাশে কেহ বা যায় কেহ আসে, বারেক যেজন বসে সেথায় তার কভু আর হয় না ফেরা! কেউ বা এসে চা করে পান, গ্রামোফোনে কেউ শোনে গান, অকারণে যারা আসে ধন্য যে সেই রসিকেরা॥
পাড়ায় কোথাও যদি কোনো মৌচাকে একটুকু মধু বাকি থাকে, যদি তা পাঠাতে পার ডাকে, বিলাতি সুগার হতে পাব নিস্তার, প্রাতরাশে মধুরিমা হবে বিস্তার। মধুর অভাব যবে অন্তরে বাজে "গুড়ং দদ্যাৎ' বাণী বলে কবিরাজে। দায়ে পড়ে তাই লুচি-পাউরুটিগুলো গুড় দিয়ে খাই; বিমর্ষমুখে বলি "গুড়ং দদ্যাৎ', সে যেন গদ্যের দেশে আসি পদ্যাৎ। খালি বোতলের পানে চেয়ে চেয়ে চিত্ত নিশ্বাস ফেলে বলে, সকলই অনিত্য। সম্ভব হয় যদি এ বোতলটারে পূর্ণতা এনে দিতে পারে দূর হতে তোমার আতিথ্য। গৌড়ী গদ্য হতে মধুময় পদ্য দর্শন দিতে পারে সদ্য।