অতিথি
Stories
কাঁঠালিয়ার জমিদার মতিলালবাবু নৌকা করিয়া সপরিবারে স্বদেশে যাইতেছিলেন। পথের মধ্যে মধ্যাহ্নে নদীতীরের এক গঞ্জের নিকট নৌকা বাঁধিয়া পাকের আয়োজন করিতেছেন এমন সময় এক ব্রাহ্মণবালক আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, 'বাবু, তোমরা যাচ্ছ কোথায়?'
প্রশ্নকর্তার বয়স পনেরো-ষোলোর অধিক হইবে না।
আরো দেখুন
এসেছিলে তবু আস
Songs
     এসেছিলে তবু আস নাই   জানায়ে গেলে
     সমুখের পথ দিয়ে   পলাতকা ছায়া ফেলে॥
তোমার সে উদাসীনতা   সত্য কিনা জানি না সে,
     চঞ্চল চরণ গেল ঘাসে ঘাসে   বেদনা মেলে॥
     তখন পাতায় পাতায়   বিন্দু বিন্দু ঝরে জল,
     শ্যামল বনান্তভূমি   করে ছলোছল্‌।
তুমি চলে গেছ ধীরে ধীরে     সিক্ত সমীরে,
     পিছনে নীপবীথিকায় রৌদ্রছায়া যায় খেলে॥
আরো দেখুন
নতুন পুতুল
Stories
এই গুণী কেবল পুতুল তৈরি করত; সে পুতুল রাজবাড়ির মেয়েদের খেলার জন্যে।
বছরে বছরে রাজবাড়ির আঙিনায় পুতুলের মেলা বসে। সেই মেলায় সকল কারিগরই এই গুণীকে প্রধান মান দিয়ে এসেছে।
আরো দেখুন
বিদূষক
Stories
কাঞ্চীর রাজা কর্ণাট জয় করতে গেলেন। তিনি হলেন জয়ী। চন্দনে, হাতির দাঁতে, আর সোনামানিকে হাতি বোঝাই হল।
দেশে ফেরবার পথে বলেশ্বরীর মন্দির বলির রক্তে ভাসিয়ে দিয়ে রাজা পুজো দিলেন।
আরো দেখুন
আকাশ, তোমায় কোন্
Songs
আকাশ, তোমায় কোন্‌ রূপে মন চিনতে পারে
     তাই ভাবি যে বারে বারে॥
গহন রাতের চন্দ্র তোমার মোহন ফাঁদে
     স্বপন দিয়ে মনকে বাঁধে,
প্রভাতসূর্য শুভ্র জ্যোতির তরবারে
     ছিন্ন করি ফেলে তারে॥
বসন্তবায় পরান ভুলায় চুপে চুপে,
     বৈশাখী ঝড় গর্জি উঠে রূদ্ররূপে।
শ্রাবণমেঘের নিবিড় সজল কাজল ছায়া
     দিগ্‌দিগন্তে ঘনায় মায়া--
আশ্বিনে এই অমল আলোর কিরণধারে
     যায় নিয়ে কোন্‌ মুক্তিপারে॥
আরো দেখুন
মীনু
Stories
মীনু পশ্চিমে মানুষ হয়েছে। ছেলেবেলায় ইঁদারার ধারে তুঁতের গাছে লুকিয়ে ফল পাড়তে যেত; আর অড়রখেতে যে বুড়ো মালী ঘাস নিড়োত তার সঙ্গে ওর ছিল ভাব।
বড়ো হয়ে জৌনপুরে হল ওর বিয়ে। একটি ছেলে হয়ে মারা গেল, তার পরে ডাক্তার বললে, 'এও বাঁচে কি না-বাঁচে।'
আরো দেখুন
ঘোড়া
Stories
সৃষ্টির কাজ প্রায় শেষ হয়ে যখন ছুটির ঘণ্টা বাজে ব'লে, হেনকালে ব্রহ্মার মাথায় একটা ভাবোদয় হল।
ভাণ্ডারীকে ডেকে বললেন, 'ওহে ভাণ্ডারী, আমার কারখানাঘরে কিছু কিছু পঞ্চভূতের জোগাড় করে আনো, আর-একটা নতুন প্রাণী সৃষ্টি করব।'
আরো দেখুন