© Kriya Unlimited, 2010 - 2023
এই কলেজে ছেলেমেয়েদের মেলামেশা বরঞ্চ কিছু বাড়াবাড়ি ছিল। এরা প্রায় সবাই ধনী ঘরের--এরা পয়সার ফেলাছড়া করতে ভালোবাসে। নানা রকম বাজে খরচ করে মেয়েদের কাছে দরাজ হাতের নাম কিনত। মেয়েদের মনে ঢেউ তুলত, তারা বুক ফুলিয়ে বলত--'আমাদেরই কলেজের ছেলে এরা'। সরস্বতী পুজো তারা এমনি ধূম করে করত যে, বাজারে গাঁদা ফুলের আকাল পড়ে যেত। এ ছাড়া চোখটেপাটেপি ঠাট্টা তামাসা চলেইছে। এই তাদের মাঝখানে একটা সংঘ তেড়েফুঁড়ে উঠে মেলামেশা ছারখার করে দেবার জো করলে।সংঘের হাল ধরে ছিল সুরীতি। নাম দিল 'নারীপ্রগতিসংঘ'। সেখানে পুরুষের ঢোকবার দরজা ছিল বন্ধ। সুরীতির মনের জোরের ধাক্কায় এক সময়ে যেন পুরুষ-বিদ্রোহের একটা হাওয়া উঠল। পুরুষরা যেন বেজাত, তাদের সঙ্গে জলচল বন্ধ। কদর্য তাদের ব্যায়ভার।এবার সরস্বতী পুজোতে কোনো ধুমধাম হল না। সুরীতি ঘরে ঘরে ...
মনোময় ভট্টাচার্য্য
ইন্দ্রাণী সেন
মা,আমি তোর কী করেছি। শুধু তোরে জন্ম ভ’রে মা বলে রে ডেকেছি।। চিরজীবন পাষাণী রে, ভাসালি আঁখিনীরে— চিরজীবন দুঃখানলে দহেছি।। আঁধার দেখে তরাসেতে চাহিলাম তোর কোলে যেতে— সন্তানেরে কোলে তুলে নিলি নে। মা-হারা সন্তানের মতো কেঁদে বেড়াই অবিরত— এ চোখের জল মুছায়ে তো দিলি নে। ছেলের প্রাণে ব্যথা দিয়ে যদি,মা,তোর জুড়ায় হিয়ে ভালো ভালো,তাই তবে হোক— অনেক দুঃখ সয়েছি।।
দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়
সাগর সেন
কাঁঠালিয়ার জমিদার মতিলালবাবু নৌকা করিয়া সপরিবারে স্বদেশে যাইতেছিলেন। পথের মধ্যে মধ্যাহ্নে নদীতীরের এক গঞ্জের নিকট নৌকা বাঁধিয়া পাকের আয়োজন করিতেছেন এমন সময় এক ব্রাহ্মণবালক আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, 'বাবু, তোমরা যাচ্ছ কোথায়?'প্রশ্নকর্তার বয়স পনেরো-ষোলোর অধিক হইবে না।মতিবাবু উত্তর করিলেন, 'কাঁঠালে।'ব্রাহ্মণবালক কহিল, 'আমাকে পথের মধ্যে নন্দীগাঁয়ে নাবিয়ে দিতে পার?'বাবু সম্মতি প্রকাশ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, 'তোমার নাম কী।'ব্রাহ্মণবালক কহিল, 'আমার নাম তারাপদ।'গৌরবর্ণ ছেলেটিকে বড়ো সুন্দর দেখিতে। বড়ো বড়ো চক্ষু এবং হাস্যময় ওষ্ঠাধরে একটি সুললিত সৌকুমার্য প্রকাশ পাইতেছে। পরিধানে একখানি মলিন ধুতি। অনাবৃত দেহখানি সর্বপ্রকার বাহুল্যবর্জিত; কোনো শিল্পী যেন বহু যত্নে নিখুঁত নিটোল করিয়া গড়িয়া দিয়াছেন। যেন সে পূর্বজন্মে ...
অদিতি মহসিন
পঙ্কজ মল্লিক
সুয়োরানীর বুঝি মরণকাল এল।তার প্রাণ হাঁপিয়ে উঠছে, তার কিছুই ভালো লাগছে না। বদ্দি বড়ি নিয়ে এল। মধু দিয়ে মেড়ে বললে, 'খাও।' সে ঠেলে ফেলে দিলে।রাজার কানে খবর গেল। রাজা তাড়াতাড়ি সভা ছেড়ে এল। পাশে বসে জিজ্ঞাসা করলে, 'তোমার কী হয়েছে, কী চাই।'সে গুমরে উঠে বললে, 'তোমরা সবাই যাও; একবার আমার স্যাঙাৎনিকে ডেকে দাও।'স্যাঙাৎনি এল। রানী তার হাত ধরে বললে, 'সই, বসো। কথা আছে।'স্যাঙাৎনি বললে, 'প্রকাশ করে বলো।'সুয়োরানী বললে, 'আমার সাতমহলা বাড়ির এক ধারে তিনটে মহল ছিল দুয়োরানীর। তার পরে হল দুটো, তার পরে হল একটা। তার পরে রাজবাড়ি থেকে সে বের হয়ে গেল।তার পরে দুয়োরানীর কথা আমার মনে রইল না।তার পরে একদিন দোলযাত্রা। নাটমন্দিরে যাচ্ছি ময়ূরপংখি চ'ড়ে। আগে লোক, পিছে লশকর। ডাইনে বাজে বাঁশি, বাঁয়ে বাজে মৃদঙ্গ।এমনসময় পথের পাশে, নদীর ...
শ্রাবণী সেন
কিশোর কুমার
ইমন চক্রবর্তী
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
I WANT TO give you something, my child, for we are drifting in the stream of the world.Our lives will be carried apart, and our love forgotten.But I am not so foolish as to hope that I could buy your heart with my gifts.Young is your life, your path long, and you drink the love we bring you at one draught and turn and run away from us.You have your play and your playmates. What harm is there if you have no time or thought for us.We, indeed, have leisure enough in old age to count the days that are past, to cherish in our hearts what our hands have lost for ever.The river runs swift with a song, breaking through all barriers. But the mountain stays and remembers, and follows her with his love...