তার অন্ত নাই গো যে আনন্দে গড়া আমার অঙ্গ। তার অণু-পরমাণু পেল কত আলোর সঙ্গ, ও তার অন্ত নাই গো নাই। তারে মোহনযন্ত্র দিয়ে গেছে কত ফুলের গন্ধ, তারে দোলা দিয়ে দুলিয়ে গেছে কত ঢেউয়ের ছন্দ, ও তার অন্ত নাই গো নাই। আছে কত সুরের সোহাগ যে তার স্তরে স্তরে লগ্ন, সে যে কত রঙের রসধারায় কতই হল মগ্ন, ও তার অন্ত নাই গো নাই। কত শুকতারা যে স্বপ্নে তাহার রেখে গেছে স্পর্শ, কত বসন্ত যে ঢেলেছে তায় অকারণের হর্ষ, ও তার অন্ত নাই গো নাই। সে যে প্রাণ পেয়েছে পান করে যুগ-যুগান্তরের স্তন্য-- ভুবন কত তীর্থজলের ধারায় করেছে তায় ধন্য, ও তার অন্ত নাই গো নাই। সে যে সঙ্গিনী মোর, আমারে সে দিয়েছে বরমাল্য। আমি ধন্য, সে মোর অঙ্গনে যে কত প্রদীপ জ্বালল-- ও তার অন্ত নাই গো নাই ॥