সন্ন্যাসী যে জাগিল
সন্ন্যাসী যে জাগিল ওই, জাগিল ওই, জাগিল!
হাস্য-ভরা দখিন-বায়ে অঙ্গ হতে দিল উড়ায়ে
শ্মশানচিতাভস্মরাশি-- ভাগিল কোথা ভাগিল।
মানসলোকে শুভ্র আলো চূর্ণ হয়ে রঙ জাগালো,
মদির রাগ লাগিল তারে-- হৃদয়ে তার লাগিল॥
আয় রে তোরা, আয় রে তোরা, আয় রে--
রঙের ধারা ওই-যে বহে যায় রে॥
রঙের ঝড় উচ্ছ্বসিল গগনে,
রঙের ঢেউ রসের স্রোতে মাতিয়া ওঠে সঘনে--
ডাকিল বান আজি সে কোন্ কোটালে।
নাকাড়া বাজে কানাড়া বাজে বাঁশিতে--
কান্নাধারা মিলিয়া গেছে হাসিতে--
প্রাণের মাঝে ফোয়ারা তার ছোটালে।
এসেছে হাওয়া বাণীতে দোল-দোলানো, এসেছে পথ-ভোলানো--
এসেছে ডাক ঘরের দ্বার-খোলানো ॥
আয় রে তোরা, আয় রে তোরা, আয় রে--
রঙের ধারা ওই-যে বহে যায় রে॥
উদয়রবি যে রাঙা রঙ রাঙায়ে পূর্বাচলের দিয়েছে ঘুম ভাঙায়ে
অস্তরবি সে রাঙা রসে রসিল--
চিরপ্রাণের বিজয়বাণী ঘোষিল।
অরুণবীণা যে সুর দিল রণিয়া সন্ধ্যাকাশে সে সুর উঠে ঘনিয়া
নীরব নিশীথিনীর বুকে নিখিল ধ্বনি ধ্বনিয়া।
আয় রে তোরা, আয় রে তোরা, আয় রে--
বাঁধন-হারা রঙের ধারা ওই-যে বহে যায় রে॥
রাগ : ইমন-পরজ
তাল : তেওরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ) : ১৫ অগ্রহায়ণ, ১৩৩৪
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ) : ১ ডিসেম্বর, ১৯২৭
রচনাস্থান :
স্বরলিপিকার: ১ ডিসেম্বর, ১৯২৭