ওগো, তোমরা সবাই ভালো-- যার অদৃষ্টে যেমনি জুটেছে, সেই আমাদের ভালো-- আমাদের এই আঁধার ঘরে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালো ॥ কেউ বা অতি জ্বলো-জ্বলো, কেউ বা ম্লান' ছলো-ছলো, কেউ বা কিছু দহন করে, কেউ বা স্নিগ্ধ আলো ॥ নূতন প্রেমে নূতন বধূ আগাগোড়া কেবল মধু, পুরাতনে অম্ল-মধুর একটুকু ঝাঁঝালো। বাক্য যখন বিদায় করে চক্ষু এসে পায়ে ধরে, রাগের সঙ্গে অনুরাগে সমান ভাগে ঢালো ॥ আমরা তৃষ্ঞা, তোমরা সুধা-- তোমরা তৃপ্তি, আমরা ক্ষুধা-- তোমার কথা বলতে কবির কথা ফুরালো। যে মূর্তি নয়নে জাগে সবই আমার ভালো লাগে-- কেউ বা দিব্যি গৌরবরন, কেউ বা দিব্যি কালো ॥
এ পথে আমি-যে গেছি বার বার, ভুলি নি তো এক দিনও। আজ কি ঘুচিল চিহ্ন তাহার, উঠিল বনের তৃণ॥ তবু মনে মনে জানি নাই ভয়, অনুকূল বায়ু সহসা যে বয়-- চিনিব তোমায় আসিবে সময়, তুমি যে আমায় চিন॥ একেলা যেতাম যে প্রদীপ হাতে নিবেছে তাহার শিখা। তবু জানি মনে তারার ভাষাতে ঠিকানা রয়েছে লিখা। পথের ধারেতে ফুটিল যে ফুল জানি জানি তারা ভেঙে দেবে ভুল-- গন্ধে তাদের গোপন মৃদুল সঙ্কেত আছে লীন॥