শুধু একটি গণ্ডূষ জল, আহা নিলেন তাঁহার করপুটের কমলকলিকায়। আমার কূপ যে হল অকূল সমুদ্র-- এই যে নাচে এই যে নাচে তরঙ্গ তাহার, আমার জীবন জুড়ে নাচে-- টলোমলো করে আমার প্রাণ, আমার জীবন জুড়ে নাচে। ওগো কী আনন্দ, কী আনন্দ, কী পরম মুক্তি! একটি গণ্ডূষ জল-- আমার জন্মজন্মান্তরের কালি ধুয়ে দিল গো শুধু একটি গণ্ডূষ জল॥
একদা তুমি, প্রিয়ে, আমারি এ তরুমূলে বসেছ ফুলসাজে সে কথা যে গেছ ভুলে॥ সেথা যে বহে নদী নিরবধি সে ভোলে নি, তারি যে স্রোতে আঁকা বাঁকা বাঁকা তব বেণী, তোমারি পদরেখা আছে লেখা তারি কূলে। আজি কি সবই ফাঁকি-- সে কথা কি গেছ ভুলে॥ গেঁথেছ যে রাগিণী একাকিনী দিনে দিনে আজিও যায় ব্যেপে কেঁপে কেঁপে তৃণে তৃণে। গাঁথিতে যে আঁচলে ছায়াতলে ফুলমালা তাহারি পরশন হরষন- সুধা-ঢালা ফাগুন আজো যে রে খুঁজে ফেরে চাঁপাফুলে। আজি কি সবই ফাঁকি-- সে কথা কি গেছ ভুলে॥