দূরদেশী সেই রাখাল ছেলে আমার বাটে বটের ছায়ায় সারা বেলা গেল খেলে॥ গাইল কী গান সেই তা জানে, সুর বাজে তার আমার প্রাণে-- বলো দেখি তোমরা কি তার কথার কিছু আভাস পেলে॥ আমি তারে শুধাই যবে 'কী তোমারে দিব আনি'-- সে শুধু কয়, 'আর কিছু নয়, তোমার গলার মালাখানি।' দিই যদি তো কী দাম দেবে যায় বেলা সেই ভাব্না ভেবে-- ফিরে এসে দেখি ধুলায় বাঁশিটি তার গেছে ফেলে॥
বিদায় করেছ যারে নয়ন-জলে, এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো॥ আজি মধু সমীরণে নিশীথে কুসুমবনে তারে কি পড়েছে মনে বকুলতলে॥ সে দিনও তো মধুনিশি প্রাণে গিয়েছিল মিশি, মুকুলিত দশ দিশি কুসুমদলে। দুটি সোহাগের বাণী যদি হত কানাকানি যদি ঐ মালাখানি পরাতে গলে। এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো মধুনিশি পূর্ণিমার ফিরে আসে বার বার, সে জন ফেরে না আর যে গেছে চলে ছিল তিথি অনকূল, শুধু নিমেষের ভুল-- চিরদিন তৃষাকুল পরান জ্বলে। এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো। ।