বিদায় করেছ যারে নয়ন-জলে, এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো॥ আজি মধু সমীরণে নিশীথে কুসুমবনে তারে কি পড়েছে মনে বকুলতলে॥ সে দিনও তো মধুনিশি প্রাণে গিয়েছিল মিশি, মুকুলিত দশ দিশি কুসুমদলে। দুটি সোহাগের বাণী যদি হত কানাকানি যদি ঐ মালাখানি পরাতে গলে। এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো মধুনিশি পূর্ণিমার ফিরে আসে বার বার, সে জন ফেরে না আর যে গেছে চলে ছিল তিথি অনকূল, শুধু নিমেষের ভুল-- চিরদিন তৃষাকুল পরান জ্বলে। এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো। ।
এখনো ঘোর ভাঙে না তোর যে, মেলে না তোর আঁখি, কাঁটার বনে ফুল ফুটেছে রে জানিস নে তুই তা কি। ওরে অলস, জানিস নে তুই তা কি? জাগো এবার জাগো, বেলা কাটাস না গো॥ কঠিন পথের শেষে কোথায় অগম বিজন দেশে ও সেই বন্ধু আমার একলা আছে গো, দিস নে তারে ফাঁকি॥ প্রথম রবির তাপে নাহয় শুষ্ক গগন কাঁপে, নাহয় দগ্ধ বালু তপ্ত আঁচলে দিক চারি দিক ঢাকি-- পিপাসাতে দিক চারি দিক ঢাকি। মনের মাঝে চাহি দেখ্ রে আনন্দ কি নাহি। পথে পায়ে পায়ে দুখের বাঁশরি বাজবে তোরে ডাকি-- মধুর সুরে বাজবে তোরে ডাকি॥
মন্দিরে মম কে আসিলে হে! সকল গগন অমৃতগমন, দিশি দিশি গেল মিশি অমানিশি দূরে দূরে ॥ সকল দুয়ার আপনি খুলিল, সকল প্রদীপ আপনি জ্বলিল, সব বীণা বাজিল নব নব সুরে সুরে ॥