অন্ধকারের মাঝে আমায় ধরেছ দুই হাতে। কখন্ তুমি এলে, হে নাথ, মৃদু চরণপাতে?। ভেবেছিলেম, জীবনস্বামী, তোমায় বুঝি হারাই আমি-- আমায় তুমি হারাবে না বুঝেছি আজ রাতে ॥ যে নিথীথে আপন হাতে নিবিয়ে দিলেম আলো তারি মাঝে তুমি তোমার ধ্রুবতারা জ্বালো। তোমার পথে চলা যখন ঘুচে গেল, দেখি তখন আপনি তুমি আমার পথে লুকিয়ে চল সাথে ॥
এ নতুন জন্ম, নতুন জন্ম, নতুন জন্ম আমার। সেদিন বাজল দুপুরের ঘণ্টা, ঝাঁ ঝাঁ করে রোদ্দুর, স্নান করাতেছিলেম কুয়োতলায় মা-মরা বাছুরটিকে। সামনে এসে দাঁড়ালেন বৌদ্ধ ভিক্ষু আমার-- বললেন, জল দাও। শিউরে উঠল দেহ আমার, চমকে উঠল প্রাণ। বল্ দেখি মা, সারা নগরে কি কোথাও নেই জল! কেন এলেন আমার কুয়োর ধারে, আমাকে দিলেন সহসা মানুষের তৃষ্ণা-মেটানো সম্মান।
আমার সত্য মিথ্যা সকলই ভুলায়ে দাও, আমায় আনন্দে ভাসাও ॥ না চাহি তর্ক না চাহি যুক্তি, না জানি বন্ধ না জানি মুক্তি, তোমার বিশ্বব্যাপিনী ইচ্ছা আমার অন্তরে জাগাও ॥ সকল বিশ্ব ডুবিয়া যাক শান্তিপাথারে, সব সুখ দুখ থামিয়া যাক হৃদয়মাঝারে। সকল বাক্য সকল শব্দ সকল চেষ্টা হউক স্তব্ধ- তোমার চিত্তজয়িনী বাণী আমার অন্তরে শুনাও ॥