না সজনী,না,আমি জানি জানি, সে আসিবে না। এমনি কাঁদিয়ে পোহাইবে যামিনী,বাসনা তবু পূরিবে না। জনমেও এ পোড়া ভালে কোনো আশা মিটিল না।। যদি বা সে আসে,সখী,কী হবে আমার তায়। সে তো মোরে, সজনী লো,ভালো কভু বাসে না— জানি লো। ভালো ক’রে কবে না কথা,চেয়েও না দেখিবে— বড়ো আশা করে শেষে পূরিবে না কামনা।।
যদি আসে তবে কেন যেতে চায়। দেখা দিয়ে তবে কেন গো লুকায়॥ চেয়ে থাকে ফুল হৃদয় আকুল-- বায়ু বলে এসে 'ভেসে যাই'। ধরে রাখো, ধরে রাখো-- সুখপাখি ফাঁকি দিয়ে উড়ে যায়॥ পথিকের বেশে সুখনিশি এসে বলে হেসে হেসে 'মিশে যাই'। জেগে থাকো, সখী, জেগে থাকো-- বরষের সাধ নিমেষে মিলায়॥
আমার নয়ন তব নয়নের নিবিড় ছায়ায় মনের কথার কুসুমকোরক খোঁজে সেথায় কখন অগম গোপন গহন মায়ায় পথ হারাইল ও যে॥ আতুর দিঠিতে শুধায় সে নীরবেরে-- নিভৃত বাণীর সন্ধান নাই যে রে; অজানার মাঝে অবুঝের মতো ফেরে অশ্রুধারায় মজে॥ আমার হৃদয়ে যে কথা লুকানো তার আভাষণ ফেলে কভু ছায়া তোমার হৃদয়তলে? দুয়ারে এঁকেছি রক্ত রেখায় পদ্ম-আসন, সে তোমারে কিছু বলে? তব কুঞ্জের পথ দিয়ে যেতে যেতে বাতাসে বাতাসে ব্যথা দিই মোর পেতে-- বাঁশি কী আশায় ভাষা দেয় আকাশেতে সে কি কেহ নাহি বোঝে॥