গণিতে রেলেটিভিটি প্রমাণের ভাবনায় দিনরাত একা ব'সে কাটালো সে পাবনায়-- নাম তার চুনিলাল, ডাক নাম ঝোড়্কে। ১ গুলো সবই ১ সাদা আর কালো কি, গণিতের গণনায় এ মতটা ভালো কি। অবশেষে সাম্যের সামলাবে তোড় কে। একের বহর কভু বেশি কভু কম হবে, এক রীতি হিসাবের তবুও কি সম্ভবে। ৭ যদি বাঁশ হয়, ৩ হয় খড়কে, তবু শুধু ১০ দিয়ে জুড়বে সে জোড় কে। যোগ যদি করা যায় হিড়িম্বা কুন্তীতে, সে কি ২ হতে পারে গণিতের গুন্তিতে। যতই না কষে নাও মোচা আর থোড়কে তার গুণফল নিয়ে আঁক যাবে ভড়কে।
গতি আমার এসে ঠেকে যেথায় শেষে অশেষ সেথা খোলে আপন দ্বার। যেথা আমার গান হয় গো অবসান সেথা গানের নীরব পারাবার। যেথা আমার আঁখি আঁধারে যায় ঢাকি অলখ-লোকের আলোক সেথা জ্বলে। বাইরে কুসুম ফুটে ধুলায় পড়ে টুটে, অন্তরে তো অমৃত-ফল ফলে। কর্ম বৃহৎ হয়ে চলে যখন বয়ে তখন সে পায় বৃহৎ অবকাশ। যখন আমার আমি ফুরায়ে যায় থামি তখন আমার তোমাতে প্রকাশ।