×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
Fireflies
234
234 (let not my thanks)
LET NOT MY thanks to thee
rob my silence of its fuller homage.
Rendition
Related Topics
কলুষিত
Verses
শ্যামল প্রাণের উৎস হতে
অবারিত পুণ্যস্রোতে
ধৌত হয় এ বিশ্বধরণী
দিবসরজনী।
হে নগরী, আপনারে বঞ্চিত করেছ সেই স্নানে,
রচিয়াছ আবরণ কঠিন পাষাণে।
আছ নিত্য মলিন অশুচি,
তোমার ললাট হতে গেছে ঘুচি
প্রকৃতির স্বহস্তে লিখা
আশীর্বাদটিকা।
উষা দিব্যদীপ্তিহারা
তোমার দিগন্তে এসে। রজনীর তারা
তোমার আকাশদুষ্ট জাতিচ্যুত, নষ্ট মন্ত্র তার,
বিক্ষুব্ধ নিদ্রার
আলোড়নে ধ্যান তার অস্বচ্ছ আবিল,
হারালো সে মিল
পূজাগন্ধী নন্দনের পারিজাত-সাথে
শান্তিহীন রাতে।
হেথা সুন্দরের কোলে
স্বর্গের বীণার সুর ভ্রষ্ট হল বলে
উদ্ধত হয়েছে ঊর্ধ্বে বীভৎসের কোলাহল,
কৃত্রিমের কারাগারে বন্দীদল
গর্বভরে
শৃঙ্খলের পূজা করে।
দ্বেষ ঈর্ষা কুৎসার কলুষে
আলোহীন অন্তরের গুহাতলে হেথা রাগে পুষে
ইতরের অহংকার--
গোপন দংশন তার;
অশ্লীল তাহার ক্লিন্ন ভাষা
সৌজন্যসংযমনাশা।
দুর্গন্ধ পঙ্কের দিয়ে দাগা
মুখোশের অন্তরালে করে শ্লাঘা;
সুরঙ্গ খনন করে,
ব্যাপি দেয় নিন্দা ক্ষতি প্রতিবেশীদের ঘরে ঘরে;
এই নিয়ে হাটে বাটে বাঁকা কটাক্ষের
ব্যঙ্গভঙ্গি, চতুর বাক্যের
কুটিল উল্লাস,
ক্রূর পরিহাস।
এর চেয়ে আরণ্যক তীব্র হিংসা সেও
শতগুণে শ্রেয়।
ছদ্মবেশ-অপগত
শক্তির সরল তেজে সমুদ্যত দাবাগ্নির মতো
প্রচণ্ড নির্ঘোষ;
নির্মল তাহার রোষ,
তার নির্দয়তা
বীরত্বের মাহাত্ম্যে উন্নতা।
প্রাণশক্তি তার মাঝে
অক্ষুণ্ন বিরাজে।
স্বাস্থ্যহীন বীর্যহীন যে হীনতা ধ্বংসের বাহন
গর্তখোদা ক্রিমিগণ
তারি অনুচর,
অতি ক্ষুদ্র তাই তারা অতি ভয়ংকর;
অগোচরে আনে মহামারী,
শনির কলির দত্ত সর্বনাশ তারি।
মন মোর কেঁদে আজ উঠে জাগি
প্রবল মৃত্যুর লাগি।
রুদ্র, জটাবন্ধ হতে করো মুক্ত বিরাট প্লাবন,
নীচতার ক্লেদপঙ্ক করো রক্ষা ভীষণ! পাবন!
তাণ্ডবনৃত্যের ভরে
দুর্বলের যে গ্লানিরে চূর্ণ করো যুগে যুগান্তরে,
কাপুরুষ নির্জীবের সে নির্লজ্জ অপমানগুলি
বিলুপ্ত করিয়া দিক উৎক্ষিপ্ত তোমার পদধূলি।
আরো দেখুন
27
Verses
বিশ্বধরণীর এই বিপুল কুলায়
সন্ধ্যা-- তারি নীরব নির্দেশে
নিখিল গতির বেগ ধায় তারি পানে।
চৌদিকে ধূসরবর্ণ আবরণ নামে।
মন বলে, ঘরে যাব--
কোথা ঘর নাহি জানে।
দ্বার খোলে সন্ধ্যা নিঃসঙ্গিনী,
সম্মুখে নীরন্ধ্র অন্ধকার।
সকল আলোর অন্তরালে
বিস্মৃতির দূতী
খুলে নেয় এ মর্তের ঋণ-করা সাজসজ্জা যত--
প্রক্ষিপ্ত যা-কিছু তার নিত্যতার মাঝে
ছিন্ন জীর্ণ মলিন অভ্যাস।
আঁধারে অবগাহন-স্নানে
নির্মল করিয়া দেয় নবজন্ম নগ্ন ভূমিকারে।
জীবনের প্রান্তভাগে
অন্তিম রহস্যপথে দেয় মুক্ত করি
সৃষ্টির নূতন রহস্যেরে।
নব জন্মদিন তারে বলি
আঁধারের মন্ত্র পড়ি সন্ধ্যা যারে জাগায় আলোকে।
আরো দেখুন
ক্ষতিপূরণ
Verses
তোমার তরে সবাই মোরে
করছে দোষী
হে প্রেয়সী!
বলছে--কবি তোমার ছবি
আঁকছে গানে,
প্রণয়গীতি গাচ্ছে নিতি
তোমার কানে,
নেশায় মেতে ছন্দে গেঁথে
তুচ্ছ কথা
ঢাকছে শেষে বাংলাদেশে
উচ্চ কথা।
তোমার তরে সবাই মোরে
করছে দোষী
হে প্রেয়সী!
সে কলঙ্ক নিন্দাপঙ্ক
তিলক টানি
এলেম রানী!
ফেলুক মুছি হাস্যশুচি
তোমার লোচন
বিশ্বসুদ্ধ যতেক ক্রুদ্ধ
সমালোচন।
অনুরক্ত তব ভক্ত
নিন্দিতেরে
করো রক্ষে শীতল বক্ষে
বাহুর ঘেরে।
তাই কলঙ্ক নিন্দাপঙ্ক
তিলক টানি
এলেম রানী।
আমি নাবব মহাকাব্য-
সংরচনে
ছিল মনে--
ঠেকল যখন তোমার কাঁকন-
কিংকিণীতে,
কল্পনাটি গেল ফাটি
হাজার গীতে।
মহাকাব্য সেই অভাব্য
দুর্ঘটনায়
পায়ের কাছে ছড়িয়ে আছে
কণায় কণায়।
আমি নাবব মহাকাব্য-
সংরচনে
ছিল মনে।
হায় রে কোথা যুদ্ধকথা
হৈল গত
স্বপ্নমত!
পুরাণচিত্র বীরচরিত্র
অষ্ট সর্গ
কৈল খণ্ড তোমার চণ্ড
নয়ন-খড়্গ।
রইল মাত্র দিবারাত্র
প্রেমের প্রলাপ,
দিলেম ফেলে ভাবীকেলে
কীর্তিকলাপ।
হায় রে কোথা যুদ্ধকথা
হৈল গত
স্বপ্নমত!
সেসব-ক্ষতি-পূরণ প্রতি
দৃষ্টি রাখি
হরিণ-আঁখি!
লোকের মনে সিংহাসনে
নাইকো দাবি--
তোমার মনোগৃহের কোনো
দাও তো চাবি।
মরার পরে চাই নে ওরে
অমর হতে,
অমর হব আঁখির তব
সুধার স্রোতে।
খ্যাতির ক্ষতি-পূরণ প্রতি
দৃষ্টি রাখি
হরিণ-আঁখি!
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.