১৩ (ei je era anginate)
এই যে এরা আঙিনাতে
এসেছে জুটি।
মাঠের গোরু গোঠে এনে
পেয়েছে ছুটি।
দোলে হাওয়া বেণুর শাখে
চিকন পাতার ফাঁকে ফাঁকে
অন্ধকারে সন্ধ্যাতারা
উঠেছে ফুটি।
ঘরের ছেলে ঘরের মেয়ে
বসেছে মিলে।
তারি মাঝে তোমার আসন
তুমি যে নিলে।
আপন চেনা লোকের মতো
নাম দিয়েছে তোমায় কত,
সে-নাম ধরে ডাকে ওরা
সন্ধ্যা নামিলে।
মানীর দ্বারে মান ওরা হায়
পায় না তো কেহ।
ওদের তরে রাজার ঘরে
বন্ধ যে গেহ।
জীর্ণ আঁচল ধুলায় পাতে,
বসিয়ে তোমায় নৃত্যে মাতে,
কোন্ ভরসায় চরণ ধরে
মলিন ওই দেহ।
রাতের পাখি উঠছে ডাকি
নদীর কিনারে।
কৃষ্ণপক্ষে চাঁদের রেখা
বনের ওপারে।
গাছে গাছে জোনাক জ্বলে,
পল্লীপথে লোক না চলে,
শূন্য মাঠে শৃগাল হাঁকে
গভীর আঁধারে।
জ্বলে নেভে কত সূর্য
নিখিল ভুবনে।
ভাঙে গড়ে কত প্রতাপ
রাজার ভবনে।
তারি মাঝে আঁধার রাতে
পল্লীঘরের আঙিনাতে
দীনের কণ্ঠে নামটি তোমার
উঠছে গগনে।