×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
কণিকা
বলের অপেক্ষা বলী
বলের অপেক্ষা বলী (baler apekkha bali)
ধাইল প্রচণ্ড ঝড়, বাধাইল রণ--
কে শেষে হইল জয়ী? মৃদু সমীরণ।
Rendition
Related Topics
19
Verses
সজীব খেলনা যদি
গড়া হয় বিধাতার কর্মশালে,
কী তাহার দশা হয়
তাই করি অনুভব
আজি আয়ুশেষে।
হেথা খ্যাতি মোর পরাহত,
উপেক্ষিত গাম্ভীর্য আমার,
নিষেধে অনুশাসনে
শোওয়া বসা চলে।
"চুপ করে থাকো',
"বেশি কথা কওয়া ভালো নয়',
"আরো কিছু খেতে হবে'--
এ-সকল আদেশ নির্দেশ
কভু ভর্ৎসনায়, কভু অনুনয়ে,
যাহাদের কণ্ঠ হতে আসে
তাহাদের পরিত্যক্ত খেলাঘরে
ভাঙা পুতুলের ট্রাজেডিতে
এই তো সেদিন মাত্র পড়েছে কৈশোর-যবনিকা।
কিছুক্ষণ
বিরোধের স্পর্ধা করি,
তার পরে ভালো ছেলে হয়ে
যেমন চালায় তাই চলি।
মনে ভাবি,
বৃদ্ধ ভাগ্য তার শাসনের ভার
কিছুদিন নূতন ভাগ্যের হাতে
সঁপি দিয়া কটাক্ষে হাসিছে দূরে থেকে,
হেসেছিল যেমন বাদশা
আবুহোসেনের পালা
রচিয়া আড়ালে।
অমোঘ বিধির রাজ্যে বার বার হয়েছি বিদ্রোহী;
এ রাজ্যে নিয়েছি মেনে
সেই দণ্ড
যাহা মৃণালের চেয়ে সুকোমল,
বিদ্যুতের চেয়ে স্পষ্ট
তর্জনী যাহার।
আরো দেখুন
পঁচিশ
Verses
পাঁচিলের এধারে
ফুলকাটা চিনের টবে
সাজানো গাছ সুসংযত।
ফুলের কেয়ারিতে
কাঁচিছাঁটা বেগনি গাছের পাড়।
পাঁচিলের গায়ে গায়ে
বন্দী-করা লতা।
এরা সব হাসে মধুর করে,
উচ্চহাস্য নেই এখানে;
হাওয়ায় করে দোলাদুলি
কিন্তু জায়গা নেই দুরন্ত নাচের,
এরা আভিজাত্যের সুশাসনে বাঁধা।
বাগানটাকে দেখে মনে হয়
মোগল বাদশার জেনেনা,
রাজ-আদরে অলংকৃত,
কিন্তু পাহারা চারদিকে,
চরের দৃষ্টি আছে ব্যবহারের প্রতি।
পাঁচিলের ওপারে দেখা যায়
একটি সুদীর্ঘ য়ুকলিপটাস
খাড়া উঠেছে ঊর্ধ্বে।
পাশেই দুটি তিনটি সোনাঝুরি
প্রচুর পল্লবে প্রগল্ভ।
নীল আকাশ অবারিত বিস্তীর্ণ
ওদের মাথার উপরে।
অনেকদিন দেখেছি অন্যমনে,
আজ হঠাৎ চোখে পড়ল
ওদের সমুন্নত স্বাধীনতা,
দেখলেম, সৌন্দর্যের মর্যাদা
আপন মুক্তিতে।
ওরা ব্রাত্য, আচারমুক্ত, ওরা সহজ;
সংযম আছে ওদের মজ্জার মধ্যে
বাইরে নেই শৃঙ্খলার বাঁধাবাঁধি।
ওদের আছে শাখার দোলন
দীর্ঘ লয়ে;
পল্লবগুচ্ছ নানা খেয়ালের;
মর্মরধ্বনি হাওয়ায় ছড়ানো।
আমার মনে লাগল ওদের ইঙ্গিত;
বললেম, "টবের কবিতাকে
রোপণ করব মাটিতে,
ওদের ডালপালা যথেচ্ছ ছড়াতে দেব
বেড়াভাঙা ছন্দের অরণ্যে।"
আরো দেখুন
বুদ্ধভক্তি
Verses
জাপানের কোনো কাগজে পড়েছি, জাপানি সৈনিক
যুদ্ধের সাফল্য কামনা করে যুদ্ধমন্দিরে
পূজা দিতে গিয়েছিল। ওরা শক্তির বাণ মারছে চীনকে,
ভক্তির বাণ বুদ্ধকে।
হুংকৃত যুদ্ধের বাদ্য
সংগ্রহ করিবারে শমনের খাদ্য।
সাজিয়াছে ওরা সবে উৎকটদর্শন,
দন্তে দন্তে ওরা করিতেছে ঘর্ষণ,
হিংসার উষ্মায় দারুণ অধীর
সিদ্ধির বর চায় করুণানিধির--
ওরা তাই স্পর্ধায় চলে
বুদ্ধের মন্দিরতলে।
তূরী ভেরি বেজে ওঠে রোষে গরোগরো,
ধরাতল কেঁপে ওঠে ত্রাসে থরোথরো।
গর্জিয়া প্রার্থনা করে--
আর্তরোদন যেন জাগে ঘরে ঘরে।
আত্মীয়বন্ধন করি দিবে ছিন্ন,
গ্রামপল্লীর রবে ভস্মের চিহ্ন,
হানিবে শূন্য হতে বহ্নি-আঘাত,
বিদ্যার নিকেতন হবে ধূলিসাৎ--
বক্ষ ফুলায়ে বর যাচে
দয়াময় বুদ্ধের কাছে।
তূরী ভেরি বেজে ওঠে রোষে গরোগরো,
ধরাতল কেঁপে ওঠে ত্রাসে থরোথরো।
হত-আহতের গনি সংখ্যা
তালে তালে মন্দ্রিত হবে জয়ডঙ্কা।
নারীর শিশুর যত কাটা-ছেঁড়া অঙ্গ
জাগাবে অট্টহাসে পৈশাচী রঙ্গ,
মিথ্যায় কলুষিবে জনতার বিশ্বাস,
বিষবাষ্পের বাণে রোধি দিবে নিশ্বাস--
মুষ্টি উঁচায়ে তাই চলে
বুদ্ধেরে নিতে নিজ দলে।
তূরী ভেরি বেজে ওঠে রোষে গরোগরো,
ধরাতল কেঁপে ওঠে ত্রাসে থরোথরো।
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.