×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
লেখন
লেখন
লেখন (175)
১৭৫
১৭৫
ফুল দেখিবার যোগ্য চক্ষু যার রহে
সেই যেন কাঁটা দেখে, অন্যে নহে নহে॥
Rendition
Related Topics
45
Verses
I HAVE thanked the trees that have made my-life fruitful
but have failed to remember the grass
that has ever kept it green.
আরো দেখুন
শেষ হিসাব
Verses
সন্ধ্যা হয়ে এল, এবার
সময় হল হিসাব নেবার।
যে দেব্তারে গড়েছিলেম,
দ্বারে যাঁদের পড়েছিলেম,
আয়োজনটা করেছিলেম
জীবন দিয়ে চরণ সেবার--
তাঁদের মধ্যে আজ সায়াহ্নে
কে বা আছেন এবং কে নেই,
কেই বা বাকি কেই বা ফাঁকি,
ছুটি নেব সেইটে জেনেই।
নাই বা জানলি হায় রে মূর্খ!
কী হবে তোর হিসাব সূক্ষ্ম!
সন্ধ্যা এল, দোকান তোলো,
পারের নৌকা তৈরি হল--
যত পার ততই ভোলো
বিফল সুখের বিরাট দুঃখ।
জীবনখানা খুললে তোমার
শূন্য দেখি শেষের পাতা--
কী হবে ভাই, হিসেব নিয়ে,
তোমার নয়কো লাভের খাতা।
আপনি আঁধার ডাকছে তোরে,
ঢাকছে তোমায় দয়া ক'রে।
তুমি তবে কেনই জ্বাল
মিট্মিটে ওই দীপের আলো!
চক্ষু মুদে থাকাই ভালো
শ্রান্ত, পথের প্রান্তে প'ড়ে।
জানাজানির সময় গেছে,
বোঝাপড়া কর্ রে বন্ধ।
অন্ধকারের স্নিগ্ধ কোলে
থাক্ রে হয়ে বধির অন্ধ।
যদি তোমায় কেউ না রাখে,
সবাই যদি ছেড়েই থাকে--
জনশূন্য বিশাল ভবে
একলা এসে দাঁড়াই তবে,
তোমার বিশ্ব উদার রবে
হাজার সুরে তোমায় ডাকে।
আঁধার রাতে নির্নিমেষে
দেখতে দেখতে যাবে দেখা,
তুমি একা জগৎ মাঝে,
প্রাণের মাঝে আরেক একা।
ফুলের দিনে যে মঞ্জরী
ফলের দিনে যাক সে ঝরি।
মরিস নে আর মিথ্যে ভেবে,
বসন্তেরই অন্তে এবে
যারা যারা বিদায় নেবে
একে একে যাক রে সরি।
হোক রে তিক্ত মধুর কণ্ঠ,
হোক রে রিক্ত কল্পলতা--
তোমার থাকুক পরিপূর্ণ
একলা থাকার সার্থকতা।
আরো দেখুন
অনাদৃত
Verses
তখন তরুণ রবি প্রভাতকালে
আনিছে উষার পূজা সোনার থালে।
সীমাহীন নীল জল
করিতেছে থলথল্,
রাঙা রেখা জ্বলজ্বল্
কিরণমালে।
তখন উঠিছে রবি গগনভালে।
গাঁথিতেছিলাম জাল বসিয়া তীরে।
বারেক অতল-পানে চাহিনু ধীরে--
শুনিনু কাহার বাণী
পরান লইল টানি,
যতনে সে জালখানি
তুলিয়া শিরে
ঘুরায়ে ফেলিয়া দিনু সুদূর নীরে।
নাহি জানি কত কী যে উঠিল জালে।
কোনোটা হাসির মতো কিরণ ঢালে,
কোনোটা বা টলটল্
কঠিন নয়নজল,
কোনোটা শরম-ছল
বধূর গালে--
সেদিন সাগরতীরে প্রভাতকালে।
বেলা বেড়ে ওঠে, রবি ছাড়ি পুরবে
গগনের মাঝখানে ওঠে গরবে।
ক্ষুধাতৃষ্ণা সব ভুলি
জাল ফেলে টেনে তুলি--
উঠিল গোধূলি-ধূলি
ধূসর নভে,
গাভীগণ গৃহে ধায় হরষ-রবে।
লয়ে দিবসের ভার ফিরিনু ঘরে,
তখন উঠিছে চাঁদ আকাশ-'পরে।
গ্রামপথে নাহি লোক,
পড়ে আছে ছায়ালোক,
মুদে আসে দুটি চোখ
স্বপনভরে ;
ডাকিছে বিরহী পাখি কাতর স্বরে।
সে তখন গৃহকাজ সমাধা করি
কাননে বসিয়া ছিল মালাটি পরি।
কুসুম একটি দুটি
তরু হতে পড়ে টুটি,
সে করিছে কুটিকুটি
নখেতে ধরি;
আলসে আপন মনে সময় হরি।
বারেক আগিয়ে যাই, বারেক পিছু।
কাছে গিয়ে দাঁড়ালেম, নয়ন নিচু।
যা ছিল চরণে রেখে
ভূমিতল দিনু ঢেকে,
সে কহিল দেখে দেখে,
"চিনি নে কিছু।'--
শুনি রহিলাম শির করিয়া নিচু।
ভাবিলাম, সারাদিন সারাটি বেলা
বসে বসে করিয়াছি কী ছেলেখেলা!
না জানি কী মোহে ভুলে
গেনু অকূলের কূলে,
ঝাঁপ দিনু কুতূহলে--
আনিনু মেলা
অজানা সাগর হতে অজানা ঢেলা।
যুঝি নাই, খুঁজি নাই হাটের মাঝে--
এমন হেলার ধন দেওয়া কি সাজে!
কোনো দুখ নাহি যার
কোনো তৃষা বাসনার
এ-সব লাগিবে তার
কিসের কাজে!
কুড়ায়ে লইনু পুন মনের লাজে।
সারাটি রজনী বসি দুয়ারদেশে
একে একে ফেলে দিনু পথের শেষে।
সুখহীন ধনহীন
চলে গেনু উদাসীন--
প্রভাতে পরের দিন
পথিকে এসে
সব তুলে নিয়ে গেল আপন দেশে।
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.