আজ পুরবে প্রথম নয়ন মেলিতে হেরিনু অরুণশিখা-- হেরিনু কমলবরন শিখা, তখনি হাসিয়া প্রভাততপন দিলেম আমারে টিকা-- আমার হৃদয়ে জ্যোতির টিকা। কে যেন আমার নয়ননিমেষে রাখিল পরশমণি, যে দিকে তাকাই সোনা করে দেয় দৃষ্টির পরশনি। অন্তর হতে বাহিরে সকলি আলোকে হইল মিশা, নয়ন আমার হৃদয় আমার কোথাও না পায় দিশা। আজ যেমনি নয়ন তুলিয়া চাহিনু কমলবরন শিখা-- আমার অন্তরে দিল টিকা। ভাবিয়াছি মনে দিব না মুছিতে এ পরশ-রেখা দিব না ঘুচিতে, সন্ধ্যার পানে নিয়ে যাব বহি নবপ্রভাতের লিখা-- উদয়রবির টিকা।
বন্দী হয়ে আছ তুমি সুমধুর স্নেহে অয়ি গৃহলক্ষ্মী, এই করুণক্রন্দন এই দুঃখদৈন্যে-ভরা মানবের গেহে। তাই দুটি বাহু'পরে সুন্দরবন্ধন সোনার কঙ্কণ দুটি বহিতেছে দেহে শুভচিহ্ন, নিখিলের নয়ননন্দন। পুরুষের দুই বাহু কিণাঙ্ক-কঠিন সংসারসংগ্রামে, সদা বন্ধনবিহীন; যুন্ধ-দ্বন্দ্ব যত কিছু নিদারুণ কাজে বহ্নিবাণ বজ্রসম সর্বত্র স্বাধীন। তুমি বদ্ধ স্নেহ-প্রেম-করুণার মাঝে-- শুধু শুভকর্ম, শুধু সেবা নিশিদিন। তোমার বাহুতে তাই কে দিয়াছে টানি, দুইটি সোনার গণ্ডি, কাঁকন দুখানি।