নাতবউ (natbou)
অন্তরে তার যে মধুমাধুরী পুঞ্জিত
সুপ্রকাশিত সুন্দর হাতে সন্দেশে।
লুব্ধ কবির চিত্ত গভীর গুঞ্জিত,
মত্ত মধুপ মিষ্টরসের গন্ধে সে।
দাদামশায়ের মন ভুলাইল নাতিত্বে
প্রবাসবাসের অবকাশ ভরি আতিথ্যে,
সে কথাটি কবি গাঁথি রাখে এই ছন্দে সে।
সযতনে যবে সূর্যমুখীর অর্ঘ্যটি
আনে নিশান্তে, সেও নিতান্ত মন্দ না।
এও ভালো যবে ঘরের কোণের স্বর্গটি
মুখরিত করি তানে মানে করে বন্দনা।
তবু আরো বেশি ভালো বলি শুভাদৃষ্টকে
থালাখানি যবে ভরি স্বরচিত পিষ্টকে
মোদক-লোভিত মুগ্ধ নয়ন নন্দে সে।
প্রভাতবেলায় নিরালা নীরব অঙ্গনে
দেখেছি তাহারে ছায়া-আলোকের সম্পাতে।
দেখেছি মালাটি গাঁথিছে চামেলি-রঙ্গনে,
সাজি সাজাইছে গোলাপে জবায় চম্পাতে।
আরো সে করুণ তরুণ সংগীতে
দেখেছি তাহারে পরিবেশনের ভঙ্গিতে,
স্মিতমুখী মোর লুচি ও লোভের দ্বন্দ্বে সে।
বলো কোন্ ছবি রাখিব স্মরণে অঙ্কিত--
মালতীজড়িত বঙ্কিম বেণীভঙ্গিমা?
দ্রুত অঙ্গুলে সুরশৃঙ্গার ঝংকৃত?
শুভ্র শাড়ির প্রান্তধারার রঙ্গিমা?
পরিহাসে মোর মৃদু হাসি তার লজ্জিত?
অথবা ডালিটি দাড়িমে আঙুরে সজ্জিত?
কিম্বা থালিটি থরে থরে ভরা সন্দেশে?