নামটা যেদিন ঘুচাবে, নাথ, বাঁচব সেদিন মুক্ত হয়ে-- আপনগড়া স্বপন হতে তোমার মধ্যে জনম লয়ে। ঢেকে তোমার হাতের লেখা কাটি নিজের নামের রেখা, কতদিন আর কাটবে জীবন এমন ভীষণ আপদ বয়ে। সবার সজ্জা হরণ করে আপনাকে সে সাজাতে চায়। সকল সুরকে ছাপিয়ে দিয়ে আপনাকে সে বাজাতে চায়। আমার এ নাম যাক না চুকে, তোমারি নাম নেব মুখে, সবার সঙ্গে মিলব সেদিন বিনা-নামের পরিচয়ে।
আমার যেতে ইচ্ছে করে নদীটির ওই পারে -- যেথায় ধারে ধারে বাঁশের খোঁটায় ডিঙি নৌকো বাঁধা সারে সারে। কৃষাণেরা পার হয়ে যায় লাঙল কাঁধে ফেলে; জাল টেনে নেয় জেলে, গোরু মহিষ সাঁৎরে নিয়ে যায় রাখালের ছেলে। সন্ধে হলে যেখান থেকে সবাই ফেরে ঘরে শুধু রাতদুপরে শেয়ালগুলো ডেকে ওঠে ঝাউডাঙাটার 'পরে। মা, যদি হও রাজি, বড়ো হলে আমি হব খেয়াঘাটের মাঝি। শুনেছি ওর ভিতর দিকে আছে জলার মতো। বর্ষা হলে গত ঝাঁকে ঝাঁকে আসে সেথায় চখাচখী যত। তারি ধারে ঘন হয়ে জন্মেছে সব শর; মানিক-জোড়ের ঘর, কাদাখোঁচা পায়ের চিহ্ন আঁকে পাঁকের 'পর। সন্ধ্যা হলে কত দিন মা, দাঁড়িয়ে ছাদের কোণে দেখেছি একমনে -- চাঁদের আলো লুটিয়ে পড়ে সাদা কাশের বনে। মা, যদি হও রাজি, বড়ো হলে আমি হব খেয়াঘাটের মাঝি। এ-পার ও-পার দুই পারেতেই যাব নৌকো বেয়ে। যত ছেলেমেয়ে স্নানের ঘাটে থেকে আমায় দেখবে চেয়ে চেয়ে। সূর্য যখন উঠবে মাথায় অনেক বেলা হলে -- আসব তখন চলে "বড়ো খিদে পেয়েছে গো -- খেতে দাও মা' বলে। আবার আমি আসব ফিরে আঁধার হলে সাঁঝে তোমার ঘরের মাঝে। বাবার মতো যাব না মা, বিদেশে কোন্ কাজে। মা, যদি হও রাজি, বড়ো হলে আমি হব খেয়াঘাটের মাঝি।
O THAT I were stored with a secret, like unshed rain in summer clouds-a secret, folded up in silence, that I could wander away with. O that I had some one to whisper to, where slow waters lap under trees that doze in the sun. The hush this evening seems to expect a footfall, and you ask me for the cause of my tears. I cannot give a reason why I weep, for that is a secret still withheld from me.