তোমার বীণায় কত তার আছে কত-না সুরে, আমি তার সাথে আমার তারটি দিব গো জুড়ে। তার পর হতে প্রভাতে সাঁঝে তব বিচিত্র রাগিণীমাঝে আমারো হৃদয় রণিয়া রণিয়া বাজিবে তবে। তোমার সুরেতে আমার পরান জড়ায়ে রবে। তোমার তারায় মোর আশাদীপ রাখিব জ্বালি। তোমার কুসুমে আমার বাসনা দিব গো ঢালি। তার পর হতে নিশীথে প্রাতে তব বিচিত্র শোভার সাথে আমারো হৃদয় জ্বলিবে ফুটিবে, দুলিবে সুখে-- মোর পরানের ছায়াটি পড়িবে তোমার মুখে।
আমায় বোলো না গাহিতে বোলো না। এ কি শুধু হাসিখেলা, প্রমোদের মেলা শুধু মিছে কথা ছলনা! আমায় বোলো না গাহিতে বোলো না। এ যে নয়নের জল, হতাশের শ্বাস, কলঙ্কের কথা, দরিদ্রের আশ, এ যে বুক-ফাটা দুখে গুমরিছে বুকে গভীর মরমবেদনা। এ কি শুধু হাসিখেলা, প্রমোদের মেলা, শুধু মিছে কথা ছলনা। এসেছি কি হেথা যশের কাঙালি কথা গেঁথে গেঁথে নিতে করতালি, মিছে কথা কয়ে মিছে যশ লয়ে মিছে কাজে নিশিযাপনা। কে জাগিবে আজ, কে করিবে কাজ, কে ঘুচাতে চাহে জননীর লাজ-- কাতরে কাঁদিবে, মা'র পায়ে দিবে সকল প্রাণের কামনা। এ কি শুধু হাসিখেলা, প্রমোদের মেলা, শুধু মিছে কথা ছলনা!
THE EARLY autumn day is cloudless. The river is full to the brim, washing the naked roots of the tottering tree by the ford. The long narrow path, like the thirsty tongue of the village, dips down into the stream. My heart is full, as I look around me and see the silent sky and the flowing water, and feel that happiness is spread abroad, as simply as a smile on a child's face.