সরিয়ে দিয়ে আমার ঘুমের পর্দাখানি ডেকে গেল নিশীথরাতে কে না জানি। কোন্ গগনের দিশাহারা তন্দ্রাবিহীন একটি তারা? কোন্ রজনীর দুঃস্বপনের আর্তবাণী? ডেকে গেল নিশীথরাতে কে না জানি। আঁধার রাতে ভয় এসেছে কোন্ সে নীড়ে? বোঝাই তরী ডুবল কোথায় পাষাণ-তীরে? এই ধরণীর বক্ষ টুটে এ কী রোদন এল ছুটে আমার বক্ষে বিরামহারা বেদন হানি? ডেকে গেল নিশীথরাতে কে না জানি।
তব দক্ষিণ হাতের পরশ কর নি সমর্পণ। লেখে আর মোছে তব আলো ছায়া ভাবনার প্রাঙ্গণে খনে খনে আলিপন। বৈশাখে কৃশ নদী পূর্ণ স্রোতের প্রসাদ না দিল যদি শুধু কুণ্ঠিত বিশীর্ণ ধারা তীরের প্রান্তে জাগালো পিয়াসি মন। যতটুকু পাই ভীরু বাসনার অঞ্জলিতে নাই বা উচ্ছলিল, সারা দিবসের দৈন্যের শেষে সঞ্চয় সে যে সারা জীবনের স্বপ্নের আয়োজন।