এসো এসো এই বুকে নিবাসে তোমার, যূথভ্রষ্ট বাণবিদ্ধ হরিণী আমার, এইখানে বিরাজিছে সেই চির হাসি, আঁধারিতে পারিবে না তাহা মেঘরাশি। এই হস্ত এ হৃদয় চিরকাল মতো তোমার, তোমারি কাজে রহিবে গো রত! কিসের সে চিরস্থায়ী ভালোবাসা তবে, গৌরবে কলঙ্কে যাহা সমান না রবে? জানি না, জানিতে আমি চাহি না, চাহি না, ও হৃদয়ে এক তিল দোষ আছে কিনা, ভালোবাসি তোমারেই এই শুধু জানি, তাই হলে হল, আর কিছু নাহি মানি। দেবতা সুখের দিনে বলেছ আমায়, বিপদে দেবতা সম রক্ষিব তোমায়, অগ্নিময় পথ দিয়া যাব তব সাথে, রক্ষিব, মরিব কিংবা তোমারি পশ্চাতে।
লিখতে যখন বল আমায় তোমার খাতার প্রথম পাতে তখন জানি, কাঁচা কলম নাচবে আজও আমার হাতে,- সেই কলমে আছে মিশে ভাদ্র মাসের কাশের হাসি, সেই কলমে সাঁঝের মেঘে লুকিয়ে বাজে ভোরের বাঁশি। সেই কলমে শিশু দোয়েল শিস দিয়ে তার বেড়ায় উড়ি। পারুলদিদির বাসায় দোলে কনকচাঁপার কচি কুঁড়ি। খেলার পুতুল আজও আছে সেই কলমের খেলাঘরে, সেই কলমে পথ কেটে দেয় পথ-হারানো তেপান্তরে। নতুন চিকন অশথপাতা সেই কলমে আপনি নাচে। সেই কলমে মোর বয়সে তোমার বয়স বাঁধা আছে।