যে ভাবে রমণীরূপে আপন মাধুরী আপনি বিশ্বের নাথ করিছেন চুরি যে ভাবে সুন্দর তিনি সর্ব চরাচরে, যে ভাবে আনন্দ তাঁর প্রেমে খেলা করে, যে ভাবে লতার ফুল, নদীতে লহরী, যে ভাবে বিরাজে লক্ষ্মী বিশ্বের ঈশ্বরী, যে ভাবে নবীন মেঘ বৃষ্টি করে দান, তটিনী ধরারে স্তন্য করাইছে পান, যে ভাবে পরম-এক আনন্দে উৎসুক আপনারে দুই করি লভিছেন সুখ, দুইয়ের মিলনাঘাতে বিচিত্র বেদনা নিত্য বর্ণ গন্ধ গীত করিছে রচনা, হে রমণী, ক্ষণকাল আসি মোর পাশে চিত্ত ভরি দিলে সেই রহস্য আভাসে।
এক যে ছিল রাজা সেদিন আমায় দিল সাজা। ভোরের রাতে উঠে আমি গিয়েছিলুম ছুটে, দেখতে ডালিম গাছে বনের পিরভু কেমন নাচে। ডালে ছিলেম চড়ে, সেটা ভেঙেই গেল পড়ে। সেদিন হল মানা আমার পেয়ারা পেড়ে আনা, রথ দেখতে যাওয়া, আমার চিঁড়ের পুলি খাওয়া। কে দিল সেই সাজা, জান কে ছিল সেই রাজা?
এক যে ছিল রানী আমি তার কথা সব মানি। সাজার খবর পেয়ে আমায় দেখল কেবল চেয়ে। বললে না তো কিছু, কেবল মুখটি করে নিচু আপন ঘরে গিয়ে সেদিন রইল আগল দিয়ে। হল না তার খাওয়া, কিংবা রথ দেখতে যাওয়া। নিল আমায় কোলে সাজার সময় সারা হলে। গলা ভাঙা-ভাঙা, তার চোখ-দুখানি রাঙা। কে ছিল সেই রানী আমি জানি জানি জানি।
যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু, এবার এ জীবনে তবে তোমায় আমি পাই নি যেন সে কথা রয় মনে। যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে। এ সংসারের হাটে আমার যতই দিবস কাটে, আমার যতই দু হাত ভরে ওঠে ধনে, তবু কিছুই আমি পাই নি যেন সে কথা রয় মনে। যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে। যদি আলসভরে আমি বসি পথের 'পরে, যদি ধূলায় শয়ন পাতি সযতনে, যেন সকল পথই বাকি আছে সে কথা রয় মনে। যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে। যতই উঠে হাসি, ঘরে যতই বাজে বাঁশি, ওগো যতই গৃহ সাজাই আয়োজনে, যেন তোমায় ঘরে হয় নি আনা সে কথা রয় মনে। যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই শয়নে স্বপনে।