উৎসর্গ
শ্রীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর বড়দাদা মহাশয়ের
শ্রীচরণকমলে
এই গ্রন্থ উৎসৃষ্ট হইল
সূচনা
একদিন বড়ো আকারে দেখা দিল একটি নাটক — রাজা ও রানী । এর নাট্যভূমিতে রয়েছে লিরিকের প্লাবন , তাতে নাটককে করেছে দুর্বল । এ হয়েছে কাব্যের জলাভূমি । ঐ লিরিকের টানে এর মধ্যে প্রবেশ করেছে ইলা এবং কুমারের উপসর্গ । সেটা অত্যন্ত শোচনীয়রূপে অসংগত । এই নাটকে যথার্থ নাট্যপরিণতি দেখা দিয়েছে যেখানে বিক্রমের দুর্দান্ত প্রেম প্রতিহত হয়ে পরিণত হয়েছে দুর্দান্ত হিংস্রতায় , আত্মঘাতী প্রেম হয়ে উঠেছে বিশ্বঘাতী।
প্রকৃতির প্রতিশোধের সঙ্গে ‘রাজা ও রানী'র এক জায়গায় মিল আছে । অসীমের সন্ধানে সন্ন্যাসী বাস্তব হতে ভ্রষ্ট হয়ে সত্য হতে ভ্রষ্ট হয়েছে , বিক্রম তেমনি প্রেমে বাস্তবের সীমাকে লঙ্ঘন করতে গিয়ে সত্যকে হারিয়েছে । এই তত্ত্বকেই যে সজ্ঞানে লক্ষ্য করে লেখা হয়েছে তা নয়। এর মধ্যে এই কথাটাই প্রকাশ পাবার জন্যে স্বত উদ্যত হয়েছে যে , সংসারের জমি থেকে প্রেমকে উৎপাটিত করে আনলে সে আপনার রস আপনি জোগাতে পারে না , তার মধ্যে বিকৃতি ঘটতে থাকে । –
এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম
প্রেম মেলে না।
শুধু সুখ চলে যায়
এমনি মায়ার ছলনা।
নাটকের পাত্রগণ
বিক্রমদেব জলন্ধরের রাজা
দেবদত্ত রাজার বাল্যসখা ব্রাহ্মণ
ত্রিবেদী বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ
জয়সেন , যুধাজিৎ রাজ্যের প্রধান নায়ক
মিহিরগুপ্ত জয়সেনের অমাত্য
চন্দ্রসেন কাশ্মীরের রাজা
কুমার কাশ্মীরের যুবরাজ । চন্দ্রসেনের ভ্রাতুষ্পুত্র
শংকর কুমারের পুরাতন বৃদ্ধ ভৃত্য
অমরুরাজ ত্রিচূড়ের রাজা
সুমিত্রা জালন্ধরের মহিষী। কুমারের ভগিনী
নারায়ণী দেবদত্তের স্ত্রী
রেবতী চন্দ্রসেনের মহিষী
ইলা অমরুর কন্যা । কুমারের সহিত বিবাহপণে বদ্ধ