পূর্বাচলের পানে তাকাই অস্তাচলের ধারে আসি। ডাক দিয়ে যার সাড়া না পাই তার লাগি আজ বাজাই বাঁশি॥ যখন এ কূল যাব ছাড়ি পারের খেয়ায় দেব পাড়ি, মোর ফাগুনের গানের বোঝা বাঁশির সাথে যাবে ভাসি॥ সেই-যে আমার বনের গলি রঙিন ফুলে ছিল আঁকা সেই ফুলেরই ছিন্ন দলে চিহ্ন যে তার পড়ল ঢাকা। মাঝে মাঝে কোন্ বাতাসে চেনা দিনের গন্ধ আসে, হঠাৎ বুকে চমক লাগায় আধ-ভোলা সেই কান্নাহাসি॥
আমার কী বেদনা সে কি জানো ওগো মিতা, সুদূরের মিতা। বর্ষণনিবিড় তিমিরে যামিনী বিজুলি-সচকিতা॥ বাদল-বাতাস ব্যেপে আমার হৃদয় উঠিছে কেঁপে-- সে কি জানো তুমি জানো। উৎসুক এই দুখজাগরণ এ কি হবে বৃথা ওগো মিতা, সুদূরের মিতা, আমার ভবনদ্বারে বোপিলে যারে সেই মালতী আজি বিকশিতা--সে কি জানো। যারে তুমিই দিয়েছ বাঁধি আমার কোলে সে উঠিছে কাঁদি--সে কি জানো তুমি জানো। সেই তোমার বীণা বিস্মৃতা॥