কোন্ ভীরুকে ভয় দেখাবি, আঁধার তোমার সবই মিছে। ভরসা কি মোর সামনে শুধু। নাহয় আমায় রাখবি পিছে।। আমায় দূরে যেই তাড়াবি সেই তো রে তোর কাজ বাড়াবি– তোমায় নীচে নামতে হবে আমায় যদি ফেলিস নীচে।। যাচাই ক’রে নিবি মোরে এই খেলা কি খেলবি ওরে। যে তোর হাত জানে না, মারকে জানে, ভয় লেগে রয় তাহার প্রাণে– যে তোর মার ছেড়ে তোর হাতটি দেখে আসল জানা সেই জানিছে।।
ওগো ভাগ্যদেবী পিতামহী, মিটল আমার আশ-- এখন তবে আজ্ঞা করো, বিদায় হবে দাস। জীবনের এই বাসরবাতি পোহায় বুঝি, নেবে বাতি-- বধূর দেখা নাইকো, শুধু প্রচুর পরিহাস। এখন থেমে গেল বাঁশি, শুকিয়ে এল পুষ্পরাশি, উঠল তোমার অট্টহাসি কাঁপায়ে আকাশ। ছিলেন যাঁরা আমায় ঘিরে গেছেন যে যার ঘরে ফিরে, আছ বৃদ্ধা ঠাকুরানী মুখে টানি বাস॥