আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও। আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও ॥ যে জন আমার মাঝে জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে এই অরুণ আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও। বিশ্বহৃদয়-হতে-ধাওয়া আলোয়-পাগল প্রভাত হাওয়া, সেই হাওয়াতে হৃদয় আমার নুইয়ে দাও ॥ আজ নিখিলের আনন্দধারায় ধুইয়ে দাও, মনের কোণের সব দীনতা মলিনতা ধুইয়ে দাও। আমার পরান-বীণায় ঘুমিয়ে আছে অমৃতগান-- তার নাইকো বাণী, নাইকো ছন্দ, নাইকো তান। তারে আনন্দের এই জাগরণী ছুঁই'য়ে দাও। বিশ্বহৃদয়-হতে-ধাওয়া প্রাণে-পাগল গানের হাওয়া, সেই হাওয়াতে হৃদয় আমার নুইয়ে দাও ॥
কোন্ সে ঝড়ের ভুল ঝরিয়ে দিল ফুল, প্রথম যেমনি তরুণ মাধুরী মেলেছিল এ মুকুল। নব প্রভাতের তারা সন্ধ্যাবেলায় হয়েছে পথহারা। অমরাবতীর সুরযুবতীর এ ছিল কানের দুল। এ যে মুকুটশোভার ধন— হায় গো দরদী কেহ থাক যদি, শিরে দাও পরশন। এ কি স্রোতে যাবে ভেসে দূরদয়াহীন দেশে— জানি নে, কে জানে দিন-অবসানে কোন্খানে পাবে কূল॥