মনের মধ্যে নিরবধি শিকল গড়ার কারখানা। একটা বাঁধন কাটে যদি বেড়ে ওঠে চারখানা।। কেমন ক’রে নামবে বোঝা, তোমার আপদ নয় যে সোজা– অন্তরেতে আছে যখন ভয়ের ভীষণ ভারখানা।।
রাতের আঁধার ঘোচে বটে বাতির আলো যেই জ্বালো, মূর্ছাতে যে আঁধার ঘটে রাতের চেয়ে ঘোর কালো। ঝড়-তুফানে ঢেউয়ের মারে তবু তরী বাঁচতে পারে, সবার বড়ো মার যে তোমার ছিদ্রটার ওই মারখানা।।
পর তো আছে লাখে লাখে, কে তাড়াবে নি:শেষে। ঘরের মধ্যে পর যে থাকে পর করে দেয় বিশ্বে সে। কারাগারের দ্বারী গেলে তখনি কি মুক্তি মেলে। আপনি তুমি ভিতর থেকে চেপে আছ দ্বারখানা।।
শূন্য ঝুলির নিয়ে দাবি রাগ ক’রে রোস্ কার ’পরে। দিতে জানিস তবেই পাবি, পাবি নে তো ধার ক’রে। লোভে ক্ষোভে উঠিস মাতি, ফল পেতে চাস রাতারাতি– আপন মুঠো করলে ফুটো আপন খাঁড়ার ধারখানা।।
দূর রজনীর স্বপন লাগে আজ নূতনের হাসিতে, দূর ফাগুনের বেদন জাগে আজ ফাগুনের বাঁশিতে॥ হায় রে সে কাল হায় রে কখন চলে যায় রে আজ এ কালের মরীচিকায় নতুন মায়ায় ভাসিতে॥ যে মহাকাল দিন ফুরালে আমার কুসুম ঝরালো সেই তোমারি তরুণ ভালে ফুলের মালা পরালো। শুনিয়ে শেষের কথা সে কাঁদিয়ে ছিল হতাশে, তোমার মাঝে নতুন সাজে শূন্য আবার ভরালো। আমরা খেলা খেলেছিলেম, আমরাও গান গেয়েছি। আমরাও পাল মেলেছিলেম, আমরা তরী বেয়েছি। হারায় নি তা হারায় নি বৈতরণী পারায় নি-- নবীন চোখের চপল আলোয় সে কাল ফিরে পেয়েছি।