দুঃখের যজ্ঞ-অনল-জ্বলনে জন্মে যে প্রেম দীপ্ত সে হেম, নিত্য সে নিঃসংশয়, গৌরব তার অক্ষয়॥ দুরাকাঙক্ষার পরপারে বিরহতীর্থে করে বাস যেথা জ্বলে ক্ষুব্ধ হোমাগ্নিশিখায় চিরনৈরাশ-- তৃষ্ণাদাহনমুক্ত অনুদিন অমলিন রয়। গৌরব তার অক্ষয়॥ অশ্রু-উৎস-জল-স্নানে তাপস জ্যোতির্ময় আপনারে আহুতি-দানে হল সে মৃত্যুঞ্জয়। গৌরব তার অক্ষয়॥
আমার কণ্ঠ তাঁরে ডাকে, তখন হৃদয় কোথায় থাকে ॥ যখন হৃদয় আসে ফিরে আপন নীরব নীড়ে আমার জীবন তখন কোন্ গহনে বেড়ায় কিসের পাকে ॥ যখন মোহ আমায় ডাকে তখন লজ্জা কোথায় থাকে! যখন আনেন তমোহারী আলোক-তরবারি তখন পরান আমার কোন্ কোণে যে লজ্জাতে মুখ ঢাকে ॥
এ জন্মের লাগি তোর পাপমূল্যে কেনা মহাপাপভাগী এ জীবন করিলি ধিক্কৃত। কলঙ্কিনী ধিক্ নিশ্বাস মোর তোর কাছে ঋণী। তোমার কাছে দোষ করি নাই। দোষ করি নাই। দোষী আমি বিধাতার পায়ে, তিনি করিবেন রোষ-- সহিব নীরবে। তুমি যদি না করো দয়া সবে না, সবে না,সবে না॥ তবু ছাড়িবি না মোরে? ছাড়িব না, ছাড়িব না, ছাড়িব না, তোমা লাগি পাপ নাথ, তুমি করো মর্মাঘাত। ছাড়িব না।