আমার নিকড়িয়া-রসের রসিক কানন ঘুরে ঘুরে নিকড়িয়া বাঁশের বাঁশি বাজায় মোহন সুরে । আমার ঘর বলে, ‘তুই কোথায় যাবি, বাইরে গিয়ে সব খোয়াবি !’ আমার প্রাণ বলে, ‘তোর যা আছে সব যাক্-না উড়ে পুড়ে ।’ ওগো, যায় যদি তো যাক্-না চুকে, সব হারাব হাসিমুখে– আমি এই চলেছি মরণসুধা নিতে পরান পূরে । ওগো, আপন যারা কাছে টানে এ রস তারা কেই বা জানে– আমার বাঁকা পথের বাঁকা সে যে ডাক দিয়েছে দূরে । এবার বাঁকার টানে সোজার বোঝা পড়ুক ভেঙে-চুরে।।
কুসুমে কুসুমে চরণচিহ্ন দিয়ে যাও, শেষে দাও মুছে। ওহে চঞ্চল, বেলা না যেতে খেলা কেন তব যায় ঘুচে॥ চকিত চোখের অশ্রুসজল বেদনায় তুমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে চল-- কোথা সে পথের শেষ কোন্ সুদূরের দেশ সবাই তোমায় তাই পুছে॥ বাঁশরির ডাকে কুঁড়ি ধরে শাখে, ফুল যবে ফোটে নাই দেখা। তোমার লগন যায় সে কখন, মালা গেঁথে আমি রই একা। "এসো এসো এসো' আঁখি কয় কেঁদে। তৃষিত বক্ষ বলে "রাখি বেঁধে' যেতে যেতে, ওগো প্রিয়, কিছু ফেলে রেখে দিয়ো ধরা দিতে যদি নাই রুচে॥