Home
**Artists**
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Tagore's Biography
Contact Us
Acknowledgement
Privacy Statement
Terms of Use
© Kriya Unlimited, 2010 - 2023
Home
Songs
পূজা
পূজা (pooja)
কান্নাহাসির-দোল-দোলানো
সুরের গুরু, দাও
তোমার সুরের ধারা
তুমি কেমন করে গান
আমি তোমায় যত
তুমি যে সুরের আগুন
তোমার বীণা আমার
তোমার নয়ন আমায়
অরূপ, তোমার বাণী
গানে গানে তব বন্ধন
আমার সুরে লাগে
আমার বেলা যে যায়
জীবনমরণের সীমানা ছাড়ায়ে
যারা কথা দিয়ে
তোমারি ঝরনাতলার
কূল থেকে মোর
তোমার কাছে এ বর
কেন তোমরা আমায়
দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার
রাজপুরীতে বাজায় বাঁশি
জাগ জাগ রে
হেথা যে গান
আমি হেথায় থাকি
গানের সুরের আসনখানি
সুর ভুলে যেই
গানের ভিতর দিয়ে
খেলার ছলে সাজিয়ে
যতখন তুমি আমায়
আমার যে গান
গানের ঝরনাতলায়
কন্ঠে নিলেম গান
আমার ঢালা গানের ধারা
কবে আমি বাহির হলেম
তোমায় আমায় মিলন হবে
প্রভু তোমার বীণা
তুমি একলা ঘরে
শুধু তোমার বাণী
তোমার সুর শুনায়ে
মোর হৃদয়ের গোপন বিজন ঘরে
মোর প্রভাতের এই
মালা হতে খসে-পড়া
এতো আলো জ্বালিয়েছ
কার হাতে এই মালা
বলো তো এইবারের মতো
তোমায় নতুন করেই
ধীরে বন্ধু ধীরে ধীরে
এবার আমায় ডাকলে দূরে
দুঃখের বরষায়
সে দিনে আপদ আমার
আমার হিয়ার মাঝে
কেন চোখের জলে ভিজিয়ে
আমায় বাঁধবে যদি
ওদের সাথে মেলাও
আমারে তুমি অশেষ
প্রভু, বলো বলো কবে
আমার না-বলা বাণীর
আমার হৃদয়
ভেঙে মোর ঘরের চাবি
তোমায় কিছু দেব
আমায় অভিমানের বদলে
তুমি খুশি থাক
আমার সকল রসের ধারা
রাত্রি এসে যেথায়
আমার খেলা যখন
সীমার মাঝে, অসীম
আজি যত তারা
আমি কেমন করিয়া
প্রভু আমার
তুমি বন্ধু, তুমি নাথ
ও অকূলের কূল
আমার মাঝে তোমারি মায়া
ভুলে যাই থেকে থেকে
তোমার এই মাধুরী
এরে ভিখারি সাজায়ে
আপনাকে এই জানা
তুমি যে এসেছ
তুমি যে চেয়ে আছ
আমার বাণী আমার
অসীম ধন তো
যদি আমায় তুমি
যিনি সকল কাজের কাজী
আমরা তারেই জানি
যা হবার তা হবে
অন্ধকারের মাঝে আমায়
হে মোর দেবতা
শুধু কি তার
আমারে তুমি কিসের ছলে
সভায় তোমার থাকি
তোমার প্রেমে
লুকিয়ে আস আঁধার রাতে
তুমি কি এসেছ
আলোকের এই ঝর্নাধারায়
এ অন্ধকার ডুবাও
ধায় যেন মোর
জীবন যখন শুকায়ে যায়
পাত্রখানা যায় যদি
গাব তোমার সুরে
শ্রাবণের ধারার মতো
বাজাও আমারে বাজাও
তুমি যত ভার
দাঁড়াও আমার আঁখির আগে
যদি এ আমার
তোমারি রাগিণী জীবনকুঞ্জে
চরণ ধরিতে
তোমারি নাম বলব
আমার এ ঘরে
সংসারে তুমি রাখিলে
আমার মুখের কথা
প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে
বল দাও মোরে
অন্তর মম বিকশিত
আমার বিচার তুমি করো
তোমারি ইচ্ছা হউক
অন্ধজনে দেহো আলো
হে মহাজীবন
পথে যেতে ডেকেছিলে
দুয়ারে দাও মোরে
ধনে জনে আছি
তোমারি সেবক করো
তুমি এবার আমায়
হৃদয়ে তোমার দয়া
ভুবনেশ্বর হে
আমার সত্য মিথ্যা
ভয় হতে তব
পদপ্রান্তে রাখ সেবকে
বরিষ ধরা-মাঝে
সার্থক কর সাধন
আমার মিলন লাগি
কোথায় আলো
তোরা শুনিস নি
হে অন্তরের ধন
তোমার পূজার ছলে
নীরবে আছ কেন
তোমার আমার এই
নিশা-অবসানে কে দিল
বিশ্ব যখন নিদ্রামগন
যে দিন ফুটল কমল
প্রভু তোমা লাগি
যদি তোমার দেখা
হেরি অহরহ
আমার গোধূলিলগন
নাই বা ডাকো
সকাল-সাঁজে ধায় যে
জগৎ জুড়ে উদার সুরে
কোন্ শুভখনে
আজ জ্যোৎস্নারাতে
তুমি এ-পার ও-পার
বেলা গেল তোমার
তোর ভিতরে জাগিয়া
তুমি বাহির থেকে
এখনো গেল না আঁধার
লক্ষ্মী যখন আসবে
যেতে যেতে চায় না
বেসুর বাজে রে
আমার কণ্ঠ তাঁরে ডাকে
দেবতা জেনে দূরে
ক্লান্তি আমার
অগ্নিবীণা বাজাও তুমি
পথ চেয়ে যে
সন্ধ্যা হল গো
তুমি ডাক দিয়েছ
এ যে মোর আবরণ
সকল জনম ভরে
আমার ব্যথা যখন
যতবার আলো
আবার এরা ঘিরেছে
তুমি নব নব রূপে
হৃদয়নন্দনবনে
বসে আছি হে
ডাকিছ শুনি জাগিনু
আমি কারে ডাকি গো
আজি মম মন চাহে
আমার মন তুমি
ঘাটে বসে আছি
এই মলিন বস্ত্র
নিবিড় ঘন আঁধারে
প্রতিদিন তব গাথা
নিশীথশয়নে ভেবে রাখি
প্রতিদিন আমি
জাগিতে হবে রে
আমার যা আছে
জড়ায়ে আছে বাধা
উড়িয়ে ধ্বজা
আপনারে দিয়ে রচিলি
বাঁধন ছেঁড়ার সাধন
আমায় মুক্তি যদি দাও
বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ
এ আবরণ ক্ষয় হবে
সহজ হবি
এই কথাটা ধরে রাখিস
সেই তো আমি চাই
আর রেখো না
দুঃখের তিমিরে
আমার আঁধার ভালো
এবার দুঃখ আমার
যারে নিজে তুমি
আমায় দাও গো বলে
তোর শিকল আমায়
আমি মারের সাগর
বাহিরে ভুল ভাঙবে
আমার সকল দুখের প্রদীপ
আজি বিজন ঘরে
যখন তোমায় আঘাত করি
দুঃখ যদি না পাবে তো
যেতে যেতে একলা পথে
না বাঁচাবে আমায়
মোর মরণে
হৃদয় আমার প্রকাশ হল
যখন তুমি বাঁধছিলে তার
এই-যে কালো মাটির বাসা
এক হাতে ওর কৃপাণ
আগুনের পরশমণি
ওরে, কে রে
আঘাত করে নিলে
ওগো আমার প্রাণের
সুখে আমায় রাখবে কেন
ও নিঠুর
আমার হৃদয়েতে
তোমার কাছে শান্তি
যে রাতে মোর
ভয়েরে মোর আঘাত করো
বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি
এই করেছ ভালো
আরো আঘাত সইবে আমার
আমি বহু বাসনায়
প্রচণ্ড গর্জনে
বিপদে মোরে রক্ষা করো
আরো আরো প্রভু
তোমার সোনার থালায়
দুখের বেশে এসেছ বলে
তোমার পতাকা যারে দাও
দুখ দিয়েছ
হে মহাদুঃখ
সর্ব খর্বতারে দহে
নয় এ মধুর খেলা
জাগো হে রুদ্র
পিনাকেতে লাগে টঙ্কার
প্রাণে গান নাই
যা হারিয়ে যায়
আনন্দ তুমি স্বামি
ওরে ভীরু
ওই আলো যে
তোমার দ্বারে কেন আসি
তুমি জানো, ওগো অন্তর্যামী
তোমার দুয়ার খোলার ধ্বনি
আমার যে আসে কাছে
হার-মানা হার
আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু
অন্তরে জাগিছ অন্তরযামী
দীর্ঘ জীবনপথ
আজি কোন্ ধন হতে
কে যায় অমৃতধামযাত্রী
চোখের আলোয় দেখেছিলেম
এবার নীরব করে দাও
একমনে তোর একতারাতে
গভীর রজনী নামিল হৃদয়ে
ভুবন হইতে ভুবনবাসী
জীবন যখন ছিল
বাধা দিলে বাধবে লড়াই
তুই কেবল থাকিস
দাঁড়াও, মন
নদীপারের এই আষাঢ়ের
শান্ত হ রে মম চিত্ত
শুভ নব শঙ্খ তব
পূর্বগগনভাগে
মন, জাগ মঙ্গললোকে
ভোরের বেলা কখন এসে
এখনো ঘোর
আজি নির্ভয়নিদ্রিত
ভোর হল বিভাবরী
নিশার স্বপন ছুটল রে
অনেক দিনের শূন্যতা মোর
হে চিরনূতন
প্রাণের প্রাণ জাগিছে
জাগো নির্মল নে?
স্বপন যদি ভাঙিলে
বাজাও তুমি, কবি
মনোমোহন, গহন যামিনীশেষে
পান্থ, এখনো কেন
দুঃখরাতে, হে নাথ
ডাকো মোরে আজি
হরষে জাগি আজি
বিমল আনন্দে জাগো রে
সবে আনন্দ করো
তুমি আপনি জাগাও মোরে
নূতন প্রাণ দাও
শোনো তাঁর সুধাবাণী
নিশিদিন চাহো রে
ওঠো ওঠো রে
ওদের কথায় ধাঁদা লাগে
জানি নাই গো
আমায় ভুলতে দিতে
আমার সকল কাঁটা
তাই তোমার আনন্দ
তব সিংহাসনের আসন হতে
জীবনে যত পূজা
জানি জানি কোন্
তুমি যে আমারে চাও
জানি হে যবে
নিভৃত প্রাণের দেবতা
ভক্ত করিছে প্রভুর চরণে
এসেছে সকলে কত আশে
ধ্বনিল আহ্বান মধুর গম্ভীর
কী গাব আমি
সফল করো হে প্রভু
হৃদিমন্দিরদ্বারে বাজে
ওই পোহাইল তিমিররাতি
আজি বহিছে বসন্তপবন
আনন্দগান উঠুক তবে বাজি
এ দিন আজি
ওই অমল হাতে
তার অন্ত নাই গো
তোমার আনন্দ ওই
প্রাণে খুশির তুফান উঠেছে
পারবি না কি
প্রেমে প্রাণে গানে গন্ধে
জগতে আনন্দযজ্ঞে
গায়ে আমার পুলক লাগে
আলোয় আলোকময় করে
আজি এ আনন্দসন্ধ্যা
বাজে বাজে রম্যবীণা বাজে
বিপুল তরঙ্গ রে
সদা থাকো আনন্দে
বহে নিরন্তর
অমল কমল সহজে
আনন্দধারা বহিছে ভুবনে
নব আনন্দে জাগো
হেরি তব বিমলমুখভাতি
এত আনন্দধ্বনি উঠিল কোথায়
আঁধার রজনী পোহালো
হৃদয়বাসনা পূর্ণ হল
ক্ষত যত ক্ষতি যত
আমি সংসারে মন দিয়েছিনু
আজিকে এই সকালবেলাতে
যে ধ্রুবপদ দিয়েছ বাঁধি
ওরে, তোরা যারা
মহাবিশ্বে মহাকাশে
আছ আপন মহিমা লয়ে
আমার মুক্তি আলোয় আলোয়
আমার প্রাণে গভীর গোপন
আজি মর্মরধ্বনি কেন
প্রথম আলোর চরণধ্বনি
তোমার হাতের রাখীখানি
বুঝেছি কি বুঝি নাই
ফেলে রাখলেই কি পড়ে রবে
দেওয়া নেওয়া ফিরিয়ে-দেওয়া
অরূপবীণা রূপের আড়ালে
আমি জ্বালব না মোর
আমি যখন তাঁর দুয়ারে
আকাশ জুড়ে শুনিনু
অকারণে অকালে মোর
ভুবনজোড়া আসনখানি
ডাকে বার বার ডাকে
অন্ধকারের উৎস-হতে
সারা জীবন দিল আলো
আপন হতে বাহির হয়ে
যে থাকে থাক-না দ্বারে
আকাশে দুই হাতে
নিত্য তোমার যে ফুল ফোটে
এমনি করে ঘুরিব দূরে
কোলাহল তো বারণ হল
যেথায় তোমার লুট হতেছে
বিশ্বসাথে যোগে যেথায়
প্রভু, আজি তোমার
অমন আড়াল দিয়ে
কত অজানারে জানাইলে তুমি
সবার মাঝারে তোমারে স্বীকার
মোরে ডাকি লয়ে যাও
যারা কাছে আছে
জাগ্রত বিশ্বকোলাহল-মাঝে
শান্তিসমুদ্র তুমি গভীর
ডুবি অমৃতপাথারে
ভেঙেছ দুয়ার, এসেছ জ্যোতির্ময়
হবে জয়, হবে জয়
জয় হোক, জয় হোক
জয় তব বিচিত্র আনন্দ
সকলকলুষতামসহর
রাখো রাখো রে জীবনে
হৃদয়মন্দিরে, প্রাণাধীশ
ওই শুনি যেন
বেঁধেছ প্রেমের পাশে
দাও হে আমার
আর নহে, আর নয়
আরো চাই যে
নয়ন ছেড়ে গেলে চলে
আরাম-ভাঙা উদাস সুরে
আসা-যাওয়ার মাঝখানে
বারে বারে পেয়েছি
এ পথ গেছে কোন্খানে
নিত্য নব সত্য তব
যদি ঝড়ের মেঘের মতো
তুমি আমাদের পিতা
প্রেমানন্দে রাখো পূর্ণ
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
তোমার কথা হেথা
কেন বাণী তব নাহি শুনি
তুমি ছেড়ে ছিলে
অসীম আকাশে অগণ্য কিরণ
চরণধ্বনি শুনি তব
শূন্য হাতে ফিরি
হৃদয়বেদনা বহিয়া
কেন জাগে না
যাদের চাহিয়া
আমি জেনে শুনে
নয়ান ভাসিল জলে
হিংসায় উন্মত্ত
অনেক দিয়েছ নাথ
তব অমল পরশরস
বীণা বাজাও হে
শান্তি করো বরিষন
হে সখা, মম হৃদয়ে
লহো লহো তুলি
চিরসখা, ছেড়ো না
স্বামী, তুমি এসো
হায় কে দিবে
আর কত দূরে
কামনা করি একান্তে
নাথ হে, প্রেমপথে
পূর্ণ-আনন্দ পূর্ণমঙ্গলরূপে
সংশয়তিমিরমাঝে
নিশিদিন মোর পরানে
আছ অন্তরে চিরদিন
এ মোহ-আবরণ
ডাকিছ কে তুমি
আজি নাহি নাহি নিদ্রা
তিমিরবিভাবরী
অমৃতের সাগরে
কার মিলন চাও
তোমা লাগি, নাথ
মোরে বারে বারে ফিরালে
কোথা হতে বাজে
নিকটে দেখিব তোমারে
তোমার দেখা পাব বলে
ঘোর দুঃখে জাগিনু
এ পরবাসে
এখনো আঁধার রয়েছে
ব্যাকুল প্রাণ কোথা
শূন্য প্রাণ কাঁদে সদা
সুখহীন নিশিদিন
দূরে কোথায় দূরে দূরে
পিপাসা হায় নাহি মিটিল
দিন যায় রে
তোমা-হীন কাটে দিবস
বর্ষ গেল, বৃথা গেল
কেমনে ফিরিয়া যাও
কে বসিলে আজি
অসীম কালসাগরে
ইচ্ছা যবে হবে
শুভ্র আসনে বিরাজ
পেয়েছি অভয়পদ
শুনেছে তোমার নাম
সত্য মঙ্গল প্রেমময়
চিরবন্ধু চিরনির্ভর
বাঁচান বাঁচি, মারেন মরি
সংসারে কোনো ভয় নাহি
শক্তিরূপে হেরো
শ্রান্ত কেন ওহে পান্থ
গাও বীণা
কে রে ওই ডাকিছে
মন্দিরে মম কে আসিলে
একি করুণা করুণাময়
পেয়েছি সন্ধান তব
আমার হৃদয়সমুদ্রতীরে
জননী, তোমার করুণ
তিমিরদুয়ার খোলো
তুমি জাগিছ কে
আজি শুভ শুভ্র প্রাতে
ভক্তহৃদিবিকাশ
বাণী তব ধায়
প্রথম আদি তব শক্তি
শীতল তব পদছায়া
হে মহাপ্রবল বলী
জগতে তুমি রাজা
তুমি ধন্য ধন্য হে
তাঁহারে আরতি করে
আনন্দলোকে
ওই রে তরী
আমি কী বলে
সংসার যবে মন
ওহে জীবনবল্লভ
সবাই যারে
আমার যে সব
আমি দীন, অতি দীন
কী ভয় অভয়ধামে
আনন্দ রয়েছে জাগি
সকল ভয়ের ভয়
নয়ন তোমারে
দয়া দিয়ে হবে গো
এ মণিহার আমায় নাহি
যেথায় থাকে সবার অধম
ওই আসনতলের
আমার মাথা নত করে
গরব মোর হরেছ
ভয় হয় পাছে
আজি প্রণমি তোমারে
যে-কেহ মোরে
কে জানিত তুমি
জীবনে আমার যত
আঁখিজল মুছাইলে
তোমারি গেহে
হৃদয়ে হৃদয় আসি
ফুল বলে
নমি নমি চরণে
একটি নমস্কারে
তোমারি নামে নয়ন মেলিনু
অনিমেষ আঁখি সেই
মম অঙ্গনে স্বামী
আজি মম জীবনে
কেমনে রাখিবি তোরা
হে নিখিলভারধারণ
দেবাধিদেব মহাদেব
দিন ফুরালো হে
জরজর প্রাণে, নাথ
কোথায় তুমি, আমি
সকল গর্ব দূর
এই লভিনু সঙ্গ
সুন্দর বটে তব
আলো যে আজ
মোর সন্ধ্যায় তুমি
এই তো তোমার
যদি প্রেম দিলে
মহারাজ, একি সাজে
হৃদয়শশী হৃদিগগনে
আমারে দিই তোমার
কে গো অন্তরতর
এই-যে তোমার
তোমারি মধুর রূপে
লহো লহো তুলে
ডাকিল মোরে জাগার
ওহে সুন্দর, মরি
তোমায় চেয়ে আছি
তুমি সুন্দর, যৌবনঘন
ওই মরণের সাগরপারে
ওগো সুন্দর, একদা
রুদ্রবেশে কেমন খেলা
জাগে নাথ জোছনারাতে
সুন্দর বহে আনন্দমন্দানিল
চিরদিবস নব মাধুরী
একি লাবণ্যে পূর্ণ
আজি হেরি সংসার
প্রভাতে বিমল আনন্দে
এ কী সুগন্ধহিল্লোল
একি এ সুন্দর
মধুর রূপে বিরাজ
রহি রহি আনন্দতরঙ্গ
আমি কান পেতে
আমি তারেই খুঁজে
সে যে মনের
আমার প্রাণের মানুষ
আমার মন, যখন
আমি তারেই জানি
জানি জানি তোমার
তোমার খোলা হাওয়া
আমি যখন ছিলেম
আমারে পাড়ায় পাড়ায়
মন রে ওরে
কোন্ আলোতে প্রাণের
আমারে কে নিবি
আমার এই পথ-চাওয়াতেই
হাওয়া লাগে গানের
পথ দিয়ে কে
এই আসা-যাওয়ার
আমার আর হবে
পান্থ তুমি, পান্থজনের
ওগো, পথের সাথি
অশ্রুনদীর সুদূর পারে
পথিক্ হে
এবার রঙিয়ে গেল
হার মানালে গো,
আমার পথে পথে
তুমি হঠাৎ-হাওয়ায়
পথে চলে যেতে
আমার ভাঙা পথের
পাতার ভেলা ভাসাই
আমাদের খেপিয়ে বেড়ায়
চলি গো, চলি
এখন আমার সময়
ওরে পথিক, ওরে
মোর পথিকেরে বুঝি
ছিন্ন পাতার সাজাই
না রে, না
আপনি আমার কোন্খানে
পথ এখনো শেষ
যা পেয়েছি প্রথম
জয় জয় পরমা
আঁধার রাতে একলা
মরণের মুখে রেখে
রজনীর শেষ তারা,
কোন্ খেলা যে
অচেনাকে ভয় কী
আবার যদি ইচ্ছা কর
পুষ্প দিয়ে মার
মেঘ বলেছে 'যাব যাব'
জানি গো, দিন
অল্প লইয়া থাকি
তোমার অসীমে
আমি আছি তোমার
পেয়েছি ছুটি, বিদায়
আমার যাবার বেলাতে
আঁধার এলে বলে
দিন যদি হল
তোমার হাতের অরুণলেখা
দিনের বেলায় বাঁশি
মধুর, তোমার শেষ
দিন অবসান হল
শেষ নাহি যে
রূপসাগরে ডুব দিয়েছি
কেন রে এই
জয় ভৈরব
আগুনে হল আগুনময়
ওরে, আগুন আমার
দুঃখ যে তোর
মরণসাগরপারে
যেতে যদি হয়
পথের শেষ কোথায়
যাত্রাবেলায় রুদ্র রবে
আজকে মোরে বোলো না
© Kriya Unlimited, 2010 - 2023