আবার শ্রাবণ হয়ে এলে ফিরে, মেঘ-আঁচলে নিলে ঘিরে॥ সূর্য হারায়, হারায় তারা আঁধারে পথ হয়-যে হারা, ঢেউ দিয়েছে নদীর নীরে॥ সকল আকাশ, সকল ধরা বর্ষণেরই-বাণী-ভরা। ঝরো ঝরো ধারায় মাতি বাজে আমার আঁধার রাতি, বাজে আমার শিরে শিরে॥
এই মলিন বস্ত্র ছাড়তে হবে, হবে গো এইবার-- আমার এই মলিন অহংকার॥ দিনের কাজে ধুলা লাগি অনেক দাগে হল দাগি, এমনি তপ্ত হয়ে আছে সহ্য করা ভার। আমার এই মলিন অহংকার॥ এখন তো কাজ সাঙ্গ হল দিনের অবসানে-- হল রে তাঁর আসার সময়, আশা এল প্রাণে। স্নান করে আয় এখন তবে প্রেমের বসন পরতে হবে, সন্ধ্যাবনের কুসুম তুলে গাঁথতে হবে হার। ওরে আয়, সময় নেই যে আর॥
বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি, সেকি সহজ গান! সেই সুরেতে জাগব আমি, দাও মোরে সেই কান ॥ আমি ভুলব না আর সহজেতে, সেই প্রাণে মন উঠবে মেতে মৃত্যু-মাঝে ঢাকা আছে যে অন্তহীন প্রাণ ॥ সে ঝড় যেন সই আনন্দে চিত্তবীণার তারে সপ্তসিন্ধু দশদিগন্ত নাচাও যে ঝঙ্কারে। আরাম হতে ছিন্ন ক'রে সেই গভীরে লও গো মোরে অশান্তির অন্তরে যেথায় শান্তি সুমহান ॥