না বলে যেয়ো না চলে মিনতি করি! গোপনে জীবন মন লইয়া হরি। সারা নিশি জেগে থাকি, ঘুমে ঢুলে পড়ে আঁখি, ঘুমালে হারাই পাছে সে ভয়ে মরি॥ চকিতে চমকি বঁধু, তোমারে খুঁজি-- থেকে থেকে মনে হয় স্বপন বুঝি। নিশিদিন চাহে হিয়া পরান পসারি দিয়া অধীর চরণ তব বাঁধিয়া ধরি॥
সব কিছু কেন নিল না, নিল না, নিল না ভালোবাসা-- ভালো আর মন্দেরে। আপনাতে কেন মিটাল না যত কিছু দ্বন্দ্বেরে-- ভালো আর মন্দেরে। নদী নিয়ে আসে পঙ্কিল জলধারা, সাগরহৃদয়ে গহনে হয় হারা। ক্ষমার দীপ্তি দেয় স্বর্গের আলো প্রেমের আনন্দেরে-- ভালো আর মন্দেরে॥
নারীর ললিত লোভন লীলায় এখনি কেন এ ক্লান্তি। এখনি কি সখা, খেলা হল অবসান॥ যে মধুর রসে ছিলে বিহ্বল সে কি মধুমাখা ভ্রান্তি-- সে কি স্বপ্নের দান। সে কি সত্যের অপমান। দূর দুরাশায় হৃদয় ভরিছ, কঠিন প্রেমের প্রতিমা গড়িছ-- কী মনে ভাবিয়া নারীতে করিছ পৌরুষসন্ধান। এও কি মায়ার দান॥ সহসা মন্ত্রবলে নমনীয় এই কমনীয়তারে যদি আমাদের সখী একেবারে পরের বসন-সমান ছিন্ন করি ফেলে ধূলিতলে সবে না সবে না সে নৈরাশ্য-- ভাগ্যের সেই অট্টহাস্য জানি জানি সখা, ক্ষুব্ধ করিবে লুব্ধ পুরুষপ্রাণ-- হানিবে নিঠুর বাণ॥