তোর প্রাণের রস তো শুকিয়ে গেল ওরে। তবে মরণরসে নে পেয়ালা ভরে॥ সে যে চিতার আগুন গালিয়ে ঢালা, সব জ্বলনের মেটায় জ্বালা-- সব শূন্যকে সে অট্টহেসে দেয় যে রঙিন করে॥ তোর সূর্য ছিল গহন মেঘের মাঝে, তোর দিন মরেছে অকাজেরই কাজে। তবে আসুক-না সেই তিমিররাতি লুপ্তিনেশার চরম সাখি-- তোর ক্লান্ত আঁখি দিক সে ঢাকি দিক্-ভোলাবার ঘোরে॥
আমায় মুক্তি যদি দাও বাঁধন খুলে আমি তোমার বাঁধন নেব তুলে ॥ যে পথে ধাই নিরবধি সে পথ আমার ঘোচে যদি যাব তোমার মাঝে পথের ভুলে ॥ যদি নেবাও ঘরের আলো তোমার কালো আঁধার বাসব ভালো। তীর যদি আর না যায় দেখা তোমার আমি হব একা দিশাহারা সেই অকূলে ॥
দীপ নিবে গেছে মম নিশীথসমীরে, ধীরে ধীরে এসে তুমি যেয়ো না গো ফিরে॥ এ পথে যখন যাবে আঁধারে চিনিতে পাবে-- রজনীগন্ধার গন্ধ ভরেছে মন্দিরে॥ আমারে পড়িবে মনে কখন সে লাগি প্রহরে প্রহরে আমি গান গেয়ে জাগি। ভয় পাছে শেষ রাতে ঘুম আসে আঁখিপাতে, ক্লান্ত কণ্ঠে মোর সুর ফুরায় যদি রে॥