স্বরূপ তাঁর কে জানে, তিনি অনন্ত মঙ্গল– অযুত জগত মগন সেই মহাসমুদ্রে।। তিনি নিজ অনুপম মহিমামাঝে নিলীন– সন্ধান তাঁর কে করে, নিষ্ফল বেদ বেদান্ত। পরব্রহ্ম, পরিপূর্ণ, অতি মহান– তিনি আদিকারণ, তিনি বর্ণন-অতীত।।
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে। একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো রে ॥ যদি কেউ কথা না কয়, ওরে ওরে ও অভাগা, যদি সবাই থাকে মুখ ফিরায়ে সবাই করে ভয়-- তবে পরান খুলে ও তুই মুখ ফুটে তোর মনের কথা একলা বলো রে ॥ যদি সবাই ফিরে যায়, ওরে ওরে ও অভাগা, যদি গহন পথে যাবার কালে কেউ ফিরে না চায়-- তবে পথের কাঁটা ও তুই রক্তমাখা চরণতলে একলা দলো রে ॥ যদি আলো না ধরে, ওরে ওরে ও অভাগা, যদি ঝড়-বাদলে আঁধার রাতে দুয়ার দেয় ঘরে-- তবে বজ্রানলে আপন বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা জ্বলো রে ॥
তুমি বাহির থেকে দিলে বিষম তাড়া তাই ভয়ে ঘোরায় দিক্বিদিকে, শেষে অন্তরে পাই সাড়া ॥ যখন হারাই বন্ধ ঘরের তালা-- যখন অন্ধ নয়ন, শ্রবণ কালা, তখন অন্ধকারে লুকিয়ে দ্বারে শিকলে দাও নাড়া ॥ যত দুঃখ আমার দুঃস্বপনে, সে যে ঘুমের ঘোরেই আসে মনে-- ঠেলা দিয়ে মায়ার আবেশ কর গো দেশছাড়া। আমি আপন মনের মারেই মরি, শেষে দশ জনারে দোষী করি-- আমি চোখ বুজে পথ পাই নে ব'লে কেঁদে ভাসাই পাড়া ॥