তুমি      খুশি থাক আমার পানে চেয়ে চেয়ে
তোমার   আঙিনাতে বেড়াই যখন গেয়ে গেয়ে ॥
           তোমার পরশ আমার মাঝে    সুরে সুরে বুকে বাজে,
           সেই আনন্দ নাচায় ছন্দ   বিশ্বভুবন ছেয়ে ছেয়ে ॥
           ফিরে ফিরে চিত্তবীণায় দাও যে নাড়া,
           গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া দেয় সে সাড়া।
           তোমার আঁধার তোমার আলো দুই আমারে লাগল ভালো--
           আমার হাসি বেড়ায় ভাসি   তোমার হাসি বেয়ে বেয়ে ॥

    এ নতুন জন্ম, নতুন জন্ম,
                            নতুন জন্ম আমার।
              সেদিন বাজল দুপুরের ঘণ্টা,
                             ঝাঁ ঝাঁ করে রোদ্‌দুর,
                   স্নান করাতেছিলেম কুয়োতলায়
                               মা-মরা বাছুরটিকে।
                         সামনে এসে দাঁড়ালেন
                                   বৌদ্ধ ভিক্ষু আমার--
                              বললেন, জল দাও।
                        শিউরে উঠল দেহ আমার,
                                    চমকে উঠল প্রাণ।
                            বল্‌ দেখি মা,
                        সারা নগরে কি কোথাও নেই জল!
                 কেন এলেন আমার কুয়োর ধারে,
                        আমাকে দিলেন সহসা
                                মানুষের তৃষ্ণা-মেটানো সম্মান।

আজি   শ্রাবণঘনগহন মোহে    গোপন তব চরণ ফেলে
নিশার মতো, নীরব ওহে,    সবার দিঠি এড়ায়ে এলে।
প্রভাত আজি মুদেছে আঁখি,    বাতাস বৃথা যেতেছে ডাকি,
নিলাজ নীল আকাশ ঢাকি    নিবিড় মেঘ কে দিল মেলে॥
কূজনহীন কাননভূমি,    দুয়ার দেওয়া সকল ঘরে--
একেলা কোন্‌ পথিক তুমি     পথিকহীন পথের 'পরে।
হে একা সখা, হে প্রিয়তম,     রয়েছে খোলা এ ঘর মম,
সমুখ দিয়ে স্বপনসম    যেয়ো না মোরে হেলায় ঠেলে॥