অসীম ধন তো আছে তোমার, তাহে সাধ না মেটে। নিতে চাও তা আমার হাতে কণায় কণায় বেঁটে ॥ দিয়ে তোমার রতনমণি আমায় করলে ধনী-- এখন দ্বারে এসে ডাকো, রয়েছি দ্বার এঁটে ॥ আমায় তুমি করবে দাতা, আপনি ভিক্ষু হবে-- বিশ্বভুবন মাতল যে তাই হাসির কলরবে। তুমি রইবে না ওই রথে, তুমি নামবে ধুলাপথে যুগ-যুগান্ত আমার সাথে চলবে হেঁটে হেঁটে ॥
মোদের কিছু নাই রে নাই, আমরা ঘরে বাইরে গাই-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না। যতই দিবস যায় রে যায় গাই রে সুখে হায় রে হায়-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না। যারা সোনার চোরাবালির 'পরে পাকা ঘরের-ভিত্তি গড়ে তাদের সামনে মোরা গান গেয়ে যাই-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না॥ যখন থেকে থেকে গাঁঠের পানে গাঁঠকাটারা দৃষ্টি হানে তখন শূন্যঝুলি দেখায়ে গাই-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না॥ যখন দ্বারে আসে মরণবুড়ি মুখে তাহার বাজাই তুড়ি, তখন তান দিয়ে গান জুড়ি রে ভাই-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না। এ যে বসন্তরাজ এসেছে আজ, বাইরে তাহার উজ্জ্বল সাজ, ওরে, অন্তরে তার বৈরাগী গায়-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না। সে যে উৎসবদিন চুকিয়ে দিয়ে, ঝরিয়ে দিয়ে, শুকিয়ে দিয়ে, দুই রিক্ত হাতে তাল দিয়ে গায়-- তাইরে নাইরে নাইরে না। না না না॥