বর্ষণমন্দ্রিত অন্ধকারে এসেছি তোমারি এ দ্বারে, পথিকেরে লহো ডাকি তব মন্দিরের এক ধারে॥ বনপথ হতে, সুন্দরী, এনেছি মল্লিকামঞ্জলী-- তুমি লবে নিজ বেণীবন্ধে মনে রেখেছি এ দুরাশারে॥ কোনো কথা নাহি ব'লে ধীরে ধীরে ফিরে যাব চলে। ঝিল্লিঝঙ্কৃত নিশীথে পথে যেতে বাঁশরিতে শেষ গান পাঠাব তোমা-পানে শেষ উপহারে॥
থামো থামো, কোথায় চলেছ পালায়ে সে কোন্ গোপন দায়ে। আমি নগর-কোটালের চর। আমি বণিক, আমি চলেছি আপন ব্যবসায়ে, চলেছি দেশান্তর। কী আছে তোমার পেটিকায়। আছে মোর প্রাণ আছে মোর শ্বাস। খোলো, খোলো, বৃথা কোরো না পরিহাস।
দুই হৃদয়ের নদী একত্র মিলিল যদি বলো, দেব, কার পানে আগ্রহে ছুটিয়া যায়॥ সম্মুখে রয়েছে তার তুমি প্রেমপারাবার, তোমারি অনন্তহৃদে দুটিতে মিলাতে চায়॥ সেই এক আশা করি দুইজনে মিলিয়াছে, সেই এক লক্ষ্য ধরি দুইজনে চলিয়াছে। পথে বাধা শত শত, পাষাণ পর্বত কত, দুই বলে এক হয়ে ভাঙিয়া ফেলিবে তায়॥ অবশেষে জীবনের মহাযাত্রা ফুরাইলে তোমারি স্নেহের কোলে যেন গো আশ্রয় মিলে, দুটি হৃদয়ের সুখ দুটি হৃদয়ের দুখ দুটি হৃদয়ের আশা মিলায় তোমার পায়॥