প্রকাশিতা (prokashita)


আজ তুমি ছোটো বটে, যার সঙ্গে গাঁঠছড়া বাঁধা

                        যেন তার আধা।

                  অধিকারগর্বভরে

            সে তোমারে নিয়ে চলে নিজঘরে।

         মনে জানে তুমি তার ছায়েবানুগতা--

তমাল সে, তার শাখালগ্ন তুমি মাধবীর লতা।

            আজ তুমি রাঙাচেলি দিয়ে মোড়া

                                আগাগোড়া,

                জড়োসড়ো ঘোমটায়-ঢাকা

                        ছবি যেন পটে আঁকা।

 

     আসিবে-যে আর-একদিন,

নারীর মহিমা নিয়ে হবে তুমি অন্তরে স্বাধীন

                 বাহিরে যেমনি থাক্‌।

             আজিকে এই-যে বাজে শাঁখ

           এরি মধ্যে আছে গূঢ় তব জয়ধ্বনি।

     জিনি লবে তোমার সংসার, হে রমণী,

                    সেবার গৌরবে।

     যে-জন আশ্রয় তব তোমারি আশ্রয় সেই লবে।

সংকোচের এই আবরণ দূর ক'রে

                সেদিন কহিবে-- দেখো মোরে!

             সে দেখিবে ঊর্ধ্বে মুখ তুলি

সৃপ্ত হয়ে পড়ে গেছে ধূসর সে কুণ্ঠিত গোধূলি--

                 দিগন্তের 'পরে স্মিতহাসে

পূর্ণচন্দ্র একা জাগে বসন্তের বিস্মিত আকাশে।

              বুঝিবে সে দেহে মনে।

প্রচ্ছন্ন হয়েছে তরু পুষ্পিত লতার আলিঙ্গনে

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •