যে চৈতন্যজ্যোতি প্রদীপ্ত রয়েছে মোর অন্তরগগনে নহে আকস্মিক বন্দী প্রাণের সংকীর্ণ সীমানায়, আদি যার শূন্যময়, অন্তে যার মৃত্যু নিরর্থক, মাঝখানে কিছুক্ষণ যাহা-কিছু আছে তার অর্থ যাহা করে উদ্ভাসিত। এ চৈতন্য বিরাজিত আকাশে আকাশে আনন্দ-অমৃতরূপে-- আজি প্রভাতের জাগরণে এ বাণী উঠিল বাজি মর্মে মর্মে মোর, এ বাণী গাঁথিয়া চলে সূর্য গ্রহ তারা অস্খলিত ছন্দসূত্রে অনিঃশেষ সৃষ্টির উৎসবে।
না বুঝেও আমি বুঝেছি তোমারে কেমনে কিছু না জানি। অর্থের শেষ পাই না, তবুও বুঝেছি তোমার বাণী। নিশ্বাসে মোর নিমেষের পাতে চেতনা বেদনা ভাবনাআঘাতে কে দেয় সর্বশরীরে ও মনে তব সংবাদ আনি। না বুঝেও আমি বুঝেছি তোমারে কেমনে কিছু না জানি। তব রাজত্ব লোক হতে লোকে সে বারতা আমি পেয়েছি পলকে, হৃদি-মাঝে যবে হেরেছি তোমার বিশ্বের রাজধানী। না বুঝেও আমি বুঝেছি তোমারে কেমনে কিছু না জানি। আপনার চিতে নিবিড় নিভৃতে যেথায় তোমারে পেয়েছি জানিতে সেথায় সকলি স্থির নির্বাক্ ভাষা পরাস্ত মানি। না বুঝেও আমি বুঝেছি তোমারে কেমনে কিছু না জানি।