জীবন যখন ছিল ফুলের মতো পাপড়ি তাহার ছিল শত শত। বসন্তে সে হত যখন দাতা ঝরিয়ে দিত দু-চারটে তার পাতা, তবুও যে তার বাকি রইত কত। আজ বুঝি তার ফল ধরেছে, তাই হাতে তাহার অধিক কিছু নাই। হেমন্তে তার সময় হল এবে পূর্ণ করে আপনাকে সে দেবে, রসের ভারে তাই সে অবনত।
পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে, পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া। যাত্রাপথের আনন্দগান যে গাহে তারি কণ্ঠে তোমারি গান গাওয়া। চায় না সে জন পিছন-পানে ফিরে, বায় না তরী কেবল তীরে তীরে, তুফান তারে ডাকে অকূল নীরে যার পরানে লাগল তোমার হাওয়া। পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া। পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে, পথিক-চিত্তে তোমার তরী বাওয়া। দুয়ার খুলে সমুখ-পানে যে চাহে তার চাওয়া যে তোমার পানে চাওয়া। বিপদ বাধা কিছুই ডরে না সে, রয় না পড়ে কোনো লাভের আশে, যাবার লাগি মন তারি উদাসে-- যাওয়া সে যে তোমার পানে যাওয়া। পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া।