নদীর পালিত এই জীবন আমার। নানা গিরিশিখরের দান নাড়ীতে নাড়ীতে তার বহে, নানা পলিমাটি দিয়ে ক্ষেত্র তার হয়েছে রচিত, প্রাণের রহস্যরস নানা দিক হতে শস্যে শস্যে লভিল সঞ্চার। পূর্বপশ্চিমের নানা গীতস্রোতজালে ঘেরা তার স্বপ্ন জাগরণ। যে নদী বিশ্বের দূতী দূরকে নিকটে আনে, অজানার অভ্যর্থনা নিয়ে আসে ঘরের দুয়ারে। সে আমার রচেছিল জন্মদিন-- চিরদিন তার স্রোতে বাঁধন-বাহিরে মোর চলমান বাসা ভেসে চলে তীর হতে তীরে। আমি ব্রাত্য, আমি পথচারী, অবারিত আতিথ্যের অন্নে পূর্ণ হয়ে ওঠে বারে বারে নির্বিচারে মোর জন্মদিবসের থালি।
তিনকড়ি। তোল্পাড়িয়ে উঠল পাড়া, তবু কর্তা দেন না সাড়া! জাগুন শিগ্গির জাগুন্। কর্তা। এলারামের ঘড়িটা যে চুপ রয়েছে, কই সে বাজে-- তিনকড়ি। ঘড়ি পরে বাজবে, এখন ঘরে লাগল আগুন। কর্তা। অসময়ে জাগলে পরে ভীষণ আমার মাথা ধরে-- তিনকড়ি। জানলাটা ঐ উঠল জ্বলে, ঊর্ধ্বশ্বাসে ভাগুন। কর্তা। বড্ড জ্বালায় তিনকড়িটা-- তিনকড়ি। জ্বলে যে ছাই হল ভিটা, ফুটপাথে ঐ বাকি ঘুমটা শেষ করতে লাগুন।