এ আমার শরীরের শিরায় শিরায় যে প্রাণ-তরঙ্গমালা রাত্রিদিন ধায় সেই প্রাণ ছুটিয়াছে বিশ্বদিগ্বিজয়ে, সেই প্রাণ অপরূপ ছন্দে তালে লয়ে নাচিছে ভুবনে; সেই প্রাণ চুপে চুপে বসুধার মৃত্তিকার প্রতি রোমকূপে লক্ষ লক্ষ তৃণে তৃণে সঞ্চারে হরষে, বিকাশে পল্লবে পুষ্পে-- বরষে বরষে বিশ্বব্যাপী জন্মমৃত্যুসমুদ্রদোলায় দুলিতেছে অন্তহীন জোয়ার-ভাঁটায়। করিতেছি অনুভব, সে অনন্ত প্রাণ অঙ্গে অঙ্গে আমারে করেছে মহীয়ান। সেই যুগযুগান্তের বিরাট স্পন্দন আমার নাড়ীতে আজি করিছে নর্তন।
সকল দাবি ছাড়বি যখন পাওয়া সহজ হবে। এই কথাটা মনকে বোঝাই, বুঝবে অবোধ কবে? নালিশ নিয়ে বেড়াস মেতে পাস নি যা তার হিসাব পেতে, শুনিস নে তার ভাণ্ডারেতে ডাক পড়ে তোর যবে। দুঃখ নিয়ে দিন কেটে যায় অশ্রু মুছে মুছে, চোখের জলে দেখতে না পাস দুঃখ গেছে ঘুচে। সব আছে তোর ভরসা যে নেই, দেখ্ চেয়ে দেখ্ এই যে সে এই, মাথা তুলে হাত বাড়ালেই অমনি পাবি তবে।