মিছে হাসি মিছে বাঁশি মিছে এ যৌবন, মিছে এই দরশের পরশের খেলা। চেয়ে দেখো, পবিত্র এ মানবজীবন, কে ইহারে অকাতরে করে অবহেলা! ভেসে ভেসে এই মহা চরাচরস্রোতে কে জানে গো আসিয়াছে কোন্খান হতে, কোথা হতে নিয়ে এল প্রেমের আভাস, কোন্ অন্ধকার ভেদি উঠিল আলোতে। এ নহে খেলার ধন, যৌবনের আশ-- বোলো না ইহার কানে আবেশের বাণী! নহে নহে এ তোমার বাসনার দাস, তোমার ক্ষুধার মাঝে আনিয়ো না টানি! এ তোমার ঈশ্বরের মঙ্গল-আশ্বাস, স্বর্গের আলোক তব এই মুখখানি।
কে গো অন্তরতর সে। আমার চেতনা আমার বেদনা তারি সুগভীর পরশে। আঁখিতে আমার বুলায় মন্ত্র, বাজায় হৃদয়বীণার তন্ত্র, কত আনন্দে জাগায় ছন্দ কত সুখে দুখে হরষে। সোনালি রুপালি সবুজে সুনীলে সে এমন মায়া কেমনে গাঁথিলে, তারি সে আড়ালে চরণ বাড়ালে ডুবালে সে সুধাসরসে। কত দিন আসে কত যুগ যায় গোপনে গোপনে পরান ভুলায়, নানা পরিচয়ে নানা নাম লয়ে নিতি নিতি রস বরষে।