×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
Fireflies
218
218 (through the silent)
THROUGH THE silent night
I hear the returning vagrant hopes of the morning
knock at my heart.
Rendition
Related Topics
মানী
Verses
আরঙজেব ভারত যবে
করিতেছিল খান-খান
মারবপতি কহিলা আসি,
"করহ প্রভু অবধান,
গোপন রাতে অচলগড়ে
নহর যাঁরে এনেছ ধরে
সিরোহিপতি সুরতান।
কী অভিলাষ তাঁহার 'পরে
আদেশ মোরে করো দান।'
শুনিয়া কহে আরঙজেব,
"কি কথা শুনি অদ্ভুত!
এতদিনে কি পড়িল ধরা
অশনিভরা বিদ্যুৎ?
পাহাড়ি লয়ে কয়েক শত
পাহাড়ে বনে ফিরিতে রত
মরুভূমির মরীচি-মতো
স্বাধীন ছিল রাজপুত!
দেখিতে চাহি, আনিতে তারে
পাঠাও কোনো রাজদূত।'
মাড়োয়ারাজ যশোবন্ত
কহিলা তবে জোড়কর,
"ক্ষত্রকুলসিংহশিশু
লয়েছে আজি মোর ঘর--
বাদশা তাঁরে দেখিতে চান,
বচন আগে করুন দান
কিছুতে কোনো অসম্মান
হবে না কভু তাঁর 'পর
সভায় তবে আপনি তাঁরে
আনিব করি সমাদর।'
আরঙজেব কহিলা হাসি,
"কেমন কথা কহ আজ!
প্রবীণ তুমি প্রবল বীর
মাড়োয়াপতি মহারাজ।
তোমার মুখে এমন বাণী
শুনিয়া মনে শরম মানি,
মানীর মান করিব হানি
মানীরে শোভে হেন কাজ?
কহিনু আমি, চিন্তা নাহি,
আনহ তাঁরে সভামাঝ।'
সিরোহিপতি সভায় আসে
মাড়োয়ারাজে লয়ে সাথ,
উচ্চশির উচ্চ রাখি
সমুখে করে আঁখিপাত
কহিল সবে বজ্রনাদে
"সেলাম করো বাদশাজাদে'--
হেলিয়া যশোবন্ত-কাঁধে
কহিলা ধীরে নরনাথ,
"গুরুজনের চরণ ছাড়া
করি নে কারে প্রণিপাত।'
কহিলা রোষে রক্ত-আঁখি
বাদশাহের অনুচর,
"শিখাতে পারি কেমনে মাথা
লুটিয়া পড়ে ভূমি-'পর।'
হাসিয়া কহে সিরহিপতি,
"এমন যেন না হয় মতি
ভয়েতে কারে করিব নতি,
জানি নে কভু ভয়-ডর।'
এতেক বলি দাঁড়ালো রাজা
কৃপাণ-'পরে করি ভর।
বাদশা ধরি সুরতানেরে
বসায়ে নিল নিজপাশ--
কহিলা, "বীর, ভারত-মাঝে
কী দেশ-'পরে তব আশ?'
কহিলা রাজা, "অচলগড়
দেশের সেরা জগৎ-'পর।'
সভার মাঝে পরস্পর
নীরবে উঠে পরিহাস।
বাদশা কহে, "অচল হয়ে
অচলগড়ে করো বাস।'
আরো দেখুন
৯৭
Verses
৯৭
আপন অসীম নিষ্ফলতার পাকে
মরু চিরদিন বন্দী হইয়া থাকে॥
আরো দেখুন
স্মৃতির ভূমিকা
Verses
আজি এই মেঘমুক্ত সকালের স্নিগ্ধ নিরালায়
অচেনা গাছের যত ছিন্ন ছিন্ন ছায়ার ডালায়
রৌদ্রপুঞ্জ আছে ভরি।
সারাবেলা ধরি
কোন্ পাখি আপনারি সুরে কুতূহলী
আলস্যের পেয়ালায় ঢেলে দেয় অস্ফুট কাকলি।
হঠাৎ কী হল মতি,
সোনালি রঙের প্রজাপতি
আমার রূপালি চুলে
বসিয়া রয়েছে পথ ভুলে।
সাবধানে থাকি, লাগে ভয়,
পাছে ওর জাগাই সংশয়--
ধরা প'ড়ে যায় পাছে, আমি নই গাছের দলের,
আমার বাণী সে নহে ফুলের ফলের।
চেয়ে দেখি, ঘন হয়ে কোথা নেমে গেছে ঝোপঝাড়;
সম্মুখে পাহাড়
আপনার অচলতা ভুলে থাকে বেলা-অবেলায়,
হামাগুড়ি দিয়ে চলে দলে দলে মেঘের খেলায়।
হোথা শুষ্ক জলধারা
শব্দহীন রচিছে ইশারা
পরিশ্রান্ত নিদ্রিত বর্ষার। নুড়িগুলি
বনের ছায়ার মধ্যে অস্থিসার প্রেতের অঙ্গুলি
নির্দেশ করিছে তারে যাহা নিরর্থক,
নির্ঝরিণী-সর্পিণীর দেহচ্যুত ত্বক্।
এখনি এ আমার দেখাতে
মিলায়েছে শৈলশ্রেণী তরঙ্গিত নীলিম রেখাতে
আপন অদৃশ্য লিপি। বাড়ির সিঁড়ির 'পরে
স্তরে স্তরে
বিদেশী ফুলের টব, সেথা জেরেনিয়মের গন্ধ
শ্বসিয়া নিয়েছে মোর ছন্দ।
এ চারিদিকের এই-সব নিয়ে সাথে
বর্ণে গন্ধে বিচিত্রিত একটি দিনের ভূমিকাতে
এটুকু রচনা মোর বাণীর যাত্রায় হোক পার
যে ক'দিন তার ভাগ্যে সময়ের আছে অধিকার।
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.