নাম তার চিনুলাল হরিরাম মোতিভয়, কিছুতে ঠকায় কেউ এই তার অতি ভয়। সাতানব্বই থেকে তেরোদিন ব'কে ব'কে বারোতে নামিয়ে এনে তবু ভাবে, গেল ঠকে। মনে মনে আঁক কষে, পদে পদে ক্ষতি-ভয়। কষ্টে কেরানি তার টিঁকে আছে কতিপয়।
স্মৃতিরে আকার দিয়ে আঁকা, বোধে যার চিহ্ন পড়ে ভাষায় কুড়ায়ে তারে রাখা, কী অর্থ ইহার মনে ভাবি। এই দাবি জীবনের এ ছেলেমানুষি, মরণেরে বঞ্চিবার ভান ক'রে খুশি, বাঁচা-মরা খেলাটাতে জিতিবার শখ, তাই মন্ত্র প'ড়ে আনে কল্পনার বিচিত্র কুহক। কালস্রোতে বস্তুমূর্তি ভেঙে ভেঙে পড়ে, আপন দ্বিতীয় রূপ প্রাণ তাই ছায়া দিয়ে গড়ে। "রহিল" বলিয়া যায় অদৃশ্যের পানে; মৃত্যু যদি করে তার প্রতিবাদ, নাহি আসে কানে। আমি বদ্ধ ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্বের জালে, আমার আপন-রচা কল্পরূপ ব্যাপ্ত দেশে কালে, এ কথা বিলয়দিনে নিজে নাই জানি আর কেহ যদি জানে তাহারেই বাঁচা ব'লে মানি।