গতি আমার এসে ঠেকে যেথায় শেষে অশেষ সেথা খোলে আপন দ্বার। যেথা আমার গান হয় গো অবসান সেথা গানের নীরব পারাবার। যেথা আমার আঁখি আঁধারে যায় ঢাকি অলখ-লোকের আলোক সেথা জ্বলে। বাইরে কুসুম ফুটে ধুলায় পড়ে টুটে, অন্তরে তো অমৃত-ফল ফলে। কর্ম বৃহৎ হয়ে চলে যখন বয়ে তখন সে পায় বৃহৎ অবকাশ। যখন আমার আমি ফুরায়ে যায় থামি তখন আমার তোমাতে প্রকাশ।
জীবন যখন ছিল ফুলের মতো পাপড়ি তাহার ছিল শত শত। বসন্তে সে হত যখন দাতা ঝরিয়ে দিত দু-চারটে তার পাতা, তবুও যে তার বাকি রইত কত। আজ বুঝি তার ফল ধরেছে, তাই হাতে তাহার অধিক কিছু নাই। হেমন্তে তার সময় হল এবে পূর্ণ করে আপনাকে সে দেবে, রসের ভারে তাই সে অবনত।